শাবিপ্রবি (সিলেট): হল দখলকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধ হয়। এতে নিহত হন বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস।
তবে চার্জশিটটি এখনও আমলে নেয়নি আদালত। এতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যালোচনার দিন ধার্য করে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সিআইডি সিলেট জোনের সহকারী পুলিশ সুপার শামীম উর রশীদ পীর চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চার্জশিটে অভিযুক্ত তালিকার মধ্যে রয়েছেন- শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী পার্থ, সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিয়াজী, সহ-সম্পাদক মোশাররফ হোসেন রাজু, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন, ছাত্রলীগ কর্মী সজল চন্দ্র ভৌমিক, আব্দুল কুদ্দুস নোমান, সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম বুলবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সহ-সভাপতি নুরে আলম, আইন সম্পাদক জহির হোসাইন, সহ-সভাপতি এস কে হাসিবুর রহমান, ছাত্রলীগ কর্মী জুনায়েদ আহমদ, হাবিবুর রহমান হাবিব. সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন নাঈম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী জেসমুল হাসান, ক্রীড়া সম্পাদক জাকির খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আশিকুজ্জামান রূপক, ছাত্রলীগ কর্মী নয়ন চৌধুরী, সহ-সম্পাদক সুকান্ত ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির আহমেদ তালুকদার, বহিরাগত সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ারুল হক আলম, রানা আহমদ শিপলু ও এমদাদুল হক (খোকন)।
২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর হল দখলকে কেন্দ্র করে পার্থ-সাঈদ-সবুজ গ্রুপের সঙ্গে অঞ্জন-উত্তম গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে সিলেট ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র সুমন চন্দ্র দাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ পরিপ্রেক্ষিতে সুমনের মা প্রতিভা দাস ২২ নভেম্বর জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ছয় বছর পর ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার চার্জশিটটি সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
আরবি