দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তবে এই ছুটি আর একদিনও না বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সদস্য সচিব জিএম জাহাঙ্গীর কবির রানা সরকারের কাছে এই দাবি জানান। অন্যথায় নিজেদের দায়িত্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আর এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতাও কামনা করেন।
সংগঠনটি থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে জিএম জাহাঙ্গীর কবির রানা বলেন, ‘সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। প্রাথমিক শিক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যে সাফল্য তার প্রায় অর্ধেক অবদান কিন্ডারগার্টেনগুলোর। করোনা মহামারির কারণে সরকারি সিদ্ধান্তে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকরা সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেলেও কিন্ডারগার্টেনের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী তাদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাড়া বাড়িতে হওয়ায় বাড়িভাড়া ও অন্যান্য খরচ বহন করতেই প্রতিষ্ঠান মালিক এবং পরিচালকদের অবস্থা নাজুক। আর্থিক চাপ সইতে না পারায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে’।
প্রায় এক বছর টানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে এবং চরম মানসিক অবক্ষয় হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
নেতৃবৃন্দ গত ২৬ জানুয়ারি কিন্ডারগার্টেন নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারেরও দাবি জানান। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও ১০ লাখ শিক্ষক কর্মচারীর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা বরাদ্দের অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
জেআইএম