ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেরোবি উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২১
বেরোবি উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা

রংপুর: ঢাকায় বসে মিথ্যাচার, শিক্ষামন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

ঢাকায় উপাচার্যের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক এক সংবাদসম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদসম্মেলনে বেরোবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা অমান্য করে ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিতি, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া, ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ, শিক্ষক ও জনবল নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম, নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ভিসি হয়েও অনুপস্থিত থাকা, নিরাপত্তাহীন ক্যাম্পাস, ইচ্ছেমত পদোন্নতি, আইন লঙ্ঘন করে একাডেমিক প্রশাসনিক পদ দখল ও ক্রয় প্রক্রিয়ায় নীতিমালা লঙ্ঘন, উপাচার্যের অননুমোদিত ও  অনিয়মতান্ত্রিক ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং, ঢাকায় লিয়াজো অফিসে অতিরিক্ত খরচ, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা,  চরম শিক্ষক সংকটসহ নানান অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িত।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ায় বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকায় বসে মিথ্যাচার করেছেন।

মশিউর রহমান বলেন, আমরা তার দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছর পর অভিযোগ করেছি। কিন্তু তিনি সংবাদসম্মেলনে আগের ভিসিকে দোষ দিচ্ছেন। তাহলে দুই বছরে তিনি কি করলেন। তার সময়েই তো নকশা পরিবর্তনসহ যত দুর্নীতি হয়েছে। তার নিকটাত্মীয়দের দিয়ে ভার্সিটি ভরিয়ে ফেলেছেন। নিজের কাছের লোক দিয়ে যতসব অনিয়ম করেই চলেছেন।

আরও বলেন, ভিসি সংবাদসম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীকে আক্রমণ করে কথা বলেছেন। স্পিকারসহ সরকারের কর্তাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। এমনকি ইউজিসি বিষয়েও বাজে মন্তব্য করেছেন। সরকারের উন্নয়নসহ সবকিছু বিষয়েই তিনি বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করেছেন। তাই তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো। অতিসত্তর এসব মন্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো আমরা।

উপাচার্যের মদদে যে নানান অনিয়ম দুর্নীতি সংগঠিত হয়েছে এবং উপাচার্য নিজেও আইন অমান্য করে চলছেন যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ পড়াশোনার পরিবেশ স্থবির হয়ে পড়েছে। আমরা চাই দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের শাস্তিসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হোক।

এসময় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহসভাপতি এইচ এম তরিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২১
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।