ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

যেকোনো সময় স্কুল খোলা হবে: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২১
যেকোনো সময় স্কুল খোলা হবে: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন

ঢাকা: করোনা পরিস্থিতি কমে গেলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো সময় স্কুল খোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

তিনি বলেছেন, ছাত্রদের ওয়ার্কশিট (অ্যাসাইনমেন্ট) দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে এবং সশরীরে পরীক্ষা নিতে না পারলে পরবর্তীতে শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, আগে আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল যে পার্ট পার্ট করে ক্লাস করবো। থ্রি, ফোর, ফাইভ হয়তো দুই দিন করবো। ওয়ান, টু একদিন একদিন করে করবো। এভাবে করতে চাচ্ছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা শর্ট সিলেবাসেরও একটা চিন্তা ভাবনা করছি। সেটা সমাপনীতেও ব্যবহার হবে। আমরা মূল্যায়ন করবো। কে কীভাবে কী করল, তার মূল্যায়নের ভিত্তিতে রেজাল্ট দেবে। সশরীরে পরীক্ষা যদি নিতে না পারি মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফল দেবে। স্কুল খুলতে পারলে পরীক্ষা নেব।

স্কুল খোলা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সেপ্টেম্বরে খুলতে হলে প্রস্তুতি আছে, অক্টোবরে খুলতেও প্রস্তুতি আছে। আমাদের ওয়ার্কশিট দেওয়া হচ্ছে সিলেবোস অনুযায়ী, এটিও একটি মূল্যায়ন। এই ওয়ার্কশিট দেওয়ার কারণে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ২০২০-এও মূল্যায়নের ভিত্তিতে রেজাল্ট দিয়েছি। এবার করোনা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক থাকলে আগের বারের মতো মূল্যায়ন করা হবে।

স্কুল খুললে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে সেই নির্দেশনা দেওয়াই আছে। প্রাথমিকের ৮৫ শতাংশ শিক্ষক ইতিমধ্যে করোনার টিকা নিয়েছেন, সবাইকে টিকা দেব।


জাকির হোসেন বলেন, স্কুলগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেবে। আমরা অনলাইন ও অফলাইনে চিন্তা ভাবনা করছি। সংসদ টেলিভিশন, রেডিতে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। অফলাইনে ওয়ার্কস শিট দিচ্ছি। সেগুলো তারা স্কুলে নিয়ে এসে শিক্ষকদের জমা দিচ্ছে। অনেক সময় ছাত্র ও অভিভাবকেরা জমা দিচ্ছে। এজন্য স্কুলগুলো খোলা রেখেছি। যাতে শিক্ষকরা স্কুলে যাবে এবং ছাত্র ও অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। আমরা যেকোনো সময় স্কুল খুলে দিলে যেন স্কুল পরিচ্ছন্ন থাকে, পড়াশোনার পরিবেশ থাকে সেটা আমরা দেখতেছি।  

স্কুল খোলার রূপরেখায় কী কী থাকছে- প্রশ্নে তিনি বলেন, উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ডব্লিউএইচও সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত তো লাগবে। স্কুল হুট করে তো খুলে দেওয়া যাবে না। আরো একটু স্বাভাবিক হলে হয়তো খোলা যেতে পারে।

সেক্ষেত্রে অক্টোবরের আগে তো খোলা সম্ভব নয়- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা ঠিক বলতে পারবেন না। যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলে, যদি আজকে বলে আমরা কালকে প্রস্তুত আছি।

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পরামর্শ কী ছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুল খোলার ব্যাপারে বিভিন্ন বিজ্ঞজন তো বলতেছেন। বিভিন্ন পেপার-পত্রিকায় বিভিন্ন লেখালেখির মাধ্যমে বলছে যে স্কুল খোলা দরকার।

 ‘আমরাও জানি দীর্ঘ দেড় বছর আমার বাচ্চা কাচ্চারা বাড়িতে আছে। নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। পড়াশোনা থেকে দূরে যাচ্ছে। অনলাইনের কারণে আমাদের কিছু ডিস্ট্রাব হচ্ছে। অনেকে বাজে গেমস খেলছে। এই যে কিশোর গ্যাং, কিশোরদের যখন পড়াশোনা থাকে না, স্কুল থাকে না তখন বিভিন্নভাবে আড্ডা দেয়। চরের বাচ্চাদের বাল্য বিবাহের কিছুটা প্রবণতা বাড়ছে। ’

বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা: ১৪৩৩, আগস্ট ২৪, ২০২১ 

এমআইএইচ/এসআইএস   


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।