ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শতবর্ষে রঙিন উৎসবের সঙ্গে শিক্ষার মান বাড়ানোর প্রত্যাশা

সাজ্জাদুল কবির, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২১
শতবর্ষে রঙিন উৎসবের সঙ্গে শিক্ষার মান বাড়ানোর প্রত্যাশা ছবি: শাকিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বঙ্গভঙ্গ রদকে ঘিরে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) নানা বাধা পেরিয়ে শতবর্ষপূর্তি উদযাপন করছে। পূর্ব বাংলার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে যাত্রা হলেও বাঙালির প্রধান অর্জনগুলোতে জড়িয়ে আছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।

ভাষা আন্দোলনের সূচনা থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এ বিদ্যাপীঠের অবদান অনস্বীকার্য। তাই গৌরবময় এ প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষপূর্তিতেও থাকছে নানা আয়োজন। তবে রঙিন উৎসবের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বাড়ানোর মাধ্যমে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রত্যাশা করেছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বর্ণাঢ্য এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শতবর্ষ উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে নানাভাবে সাজসজ্জ্বা করা হয়েছে। সর্বত্র বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। তবে শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে ঢাবিকে আরও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অগ্নি কল্লোল রিয়াজ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সোনালী যুগ ফিরে পাবে। একটি জ্ঞানভিত্তিক সৎ সমাজ, রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখবে।  

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিলুর রহমান বলেন, শতবর্ষপূর্তিতে আমাদের চাওয়া থাকবে গণরুম সমস্যার সমাধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীর শিক্ষার্থীবান্ধব আচরণ, সমসাময়িক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য যে রকম কারিকুলাম প্রয়োজন তা বাস্তবায়ন করা।  

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রত্যাশা থাকবে শিক্ষার মান বাড়াতে শিক্ষকদের আন্তরিকতা বাড়ানো, আবাসন সংকট সমস্যার সমাধান করা, শিক্ষার্থীদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে গতানুগতিক সিলেবাসের পরিবর্তে বর্তমান অবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে যুগোপযোগী সিলেবাস তৈরি করা।  

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হামিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে সময়টাতে একটাই প্রত্যাশা ছিল যে, আমি যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শতবর্ষ অনুষ্ঠানে একজন বৈধ ছাত্র হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারি। ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হাঁটতে পারব সেটা ভেবে অনেক ভালো লাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবছরের বর্ণিল ও জমজমাট আয়োজন সত্যিই মনোমুগ্ধকর। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যে বিশ্ববিদ্যালয়টি ইতোমধ্যে শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সাফল্য ও ব্যর্থতার গল্পও রচিত করেছে অনেক। এ শতবর্ষে ঢাবি যেন তার সব ব্যর্থতার গল্প কাটিয়ে স্বরূপে ফিরতে পারে। সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত হউক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবছর উদযাপন।  

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিযেছে, উদ্বোধনী ছাড়াও ২, ৩, ৪ ও ১২ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিকেল ৪টায় আলোচনা সভা ও সাড়ে ৫টায় খ্যাতিমান শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। প্রথিতযশা শিল্পী ও সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ এবং নৃত্যকলা বিভাগের শিল্পী ও অ্যালামনাইরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করবেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় মহান বিজয় দিবসে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করবেন। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘লেজার শো’ আয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১
এসকেবি/আরবি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।