সিলেট: সিলেট বোর্ডের অধীনে এবার উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ৬৭ হাজার ৯৮৫ শিক্ষার্থী।
করোনাকালে এই সময়ে অটোপাসের পর এবার সরাসরি পরীক্ষায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যায় ৬ হাজার ১১৭ জন বেশি।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বোর্ডের অধীনে ২৯৯ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা ৮৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবেন।
এবার সিলেট বোর্ডে ছেলে পরীক্ষার্থী ৩০ হাজার ৯৩৪ এবং মেয়ে ৩৭ হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ১৩ হাজার ৯৬ জন, মানবিককে ৪৫ হাজার ৪৫১ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৯ হাজার ৪৩৮ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, করোনাকালীন এই সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর বোর্ডে পরীক্ষার্থী কমেছে ৭ হাজার ৩৩৮ জন।
তিনি বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্র পর্যবেক্ষণে বোর্ডের ৫টি ভিজিল্যান্স টিম থাকবে। এছাড়া ১৯ জন শিক্ষকের নেতৃত্বে আরও ১৯টি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে তারা বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
বোর্ড সূত্র জানায়, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী রয়েছেন সিলেট জেলায় ২৯ হাজার ১৭৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৩ হাজার ৭৯৬ এবং ছাত্রী ১৫ হাজার ৩৭৭ জন। জেলায় ১৪৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব পরীক্ষার্থী ৩২ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন।
সুনামগঞ্জ জেলার ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের ১২ হাজার ৯০৬ জন পরীক্ষার্থী ২১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন। এরমধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৭৭৪ এবং ছাত্রী ৭ হাজার ১৩২ জন।
মৌলভীবাজার জেলায় ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার ২৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৬৩৭ এবং ছাত্রী ৭ হাজার ৬৪২ জন। এসব শিক্ষার্থীরা ১৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন।
হবিগঞ্জ জেলায় ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২ হাজার ৪৩৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে ছেলে ৫ হাজার ৬১৫ জন এবং মেয়ে ৬ হাজার ৮১৯ জন। এসব পরীক্ষার্থীর জন্য ১৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন।
গেল বছর করোনার কারণে পরীক্ষা না নেওয়া হলেও সিলেট বোর্ডে ৭৫ হাজার ৩২৩ জন পরীক্ষার্থীকে অটোপাস দেওয়া হয়। সে তুলনায় এবার ৭ সহস্রাধিক পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে।
এদিকে এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের ২শ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে এসএসপি, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, কেন্দ্রের ২শ গজের মধ্যে জনসমাবেশ, মিছিল, ঢাকঢোল বাজানো, লাউড স্পিকার ব্যবহারসহ শান্তিশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ কোন কাজ করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হলো।
২ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। এই আদেশ লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএমপি এলাকায় কেন্দ্রেগুলো- সিলেট সরকারি কলেজ, সিলেট এমসি কলেজ, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, মদন মোহন সরকারি কলেজ, মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ, দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ, আম্বরখানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট ক্যাডেট কলেজ, সিলেট সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শাহপরাণ সরকারি কলেজ, শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজ, সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দক্ষিণ সুরমার ইছরাব আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লতিফা শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, জালালপুর ডিগ্রি কলেজ, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, জালালিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদ মখন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১
এনইউ/এএটি