ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কলা ভবনের কক্ষ ছাড়ছে না সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ

সাজ্জাদুল কবির, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২১
কলা ভবনের কক্ষ ছাড়ছে না সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: নতুন ভবনে স্থানান্তরের পরেও কলা ভবনের কক্ষ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বেশ কয়েকটি বিভাগের বিরুদ্ধে। করোনাকালসহ দীর্ঘদিন ধরে কক্ষগুলো অব্যবহৃত থাকায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কক্ষগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

এ নিয়ে কলা অনুষদের শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কক্ষ সিলাগালা করা হলেও পরবর্তীতে তালা ভাঙা ও পাল্টা তালা লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে। কলা অনুষদের বিভাগগুলোতে কক্ষ সংকট থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ কারণে অব্যবহৃত থাকা কক্ষগুলো দ্রুত বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে জানা গেছে, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে কলা অনুষদের শিক্ষকরা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলো স্থানান্তরের পরে কক্ষ বুঝিয়ে না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস বরাদ্দ কমিটির চেয়ারম্যান প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলরের (প্রশাসন) কাছে একটি চিঠি দেন। এতে কলা অনুষদের শিক্ষকদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থগারিক অধ্যাপক ড. মো. নাসিরউদ্দীন মুন্সী স্বাক্ষর করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমরা কলা অনুষদের দুই শতাধিক শিক্ষকের স্বাক্ষরসহ একটি চিঠি প্রশাসনের কাছে দিয়েছি। আমরা চাই বিষয়টির দ্রুত সমাধান হোক।


ছেড়ে যাওয়া কক্ষে ল্যাব করার ঘোষণা দিয়ে পোস্টারিং করেছেন শিক্ষার্থীরা

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান ভবন ছয় তলা থেকে ১২ তলায় সম্প্রসারণের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়। ২০২০ সালে বিভাগগুলো ফ্লোর বরাদ্দ পায়। এর আগে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলো কলা ভবনের বিভিন্ন রুমে তাদের ক্লাস নেয়। তবে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো নবনির্মিত ভবনে স্থানান্তরিত হলেও কলা ভবনের কক্ষগুলো ছাড়েনি। কক্ষগুলোতে তালা লাগিয়েই তারা নতুন ভবনে চলে আসে।

তবে কয়েকটি বিভাগ রুম ছেড়ে দিলেও মানেনি নিয়ম। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলো চলে আসার পর তাদের সেই কক্ষগুলো কক্ষ বরাদ্দ কমিটিকে বুঝিয়ে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও কয়েকটি বিভাগ যাওয়ার সময় কমিটিকে বুঝিয়ে না দিয়ে নিজেদের পছন্দসই বিভাগকে কক্ষগুলো দিয়ে যায়। অর্থনীতি বিভাগ চলে যাওয়ার সময় তাদের রুমগুলো শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগকে দেয়। পরবর্তীতে শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগ স্থানান্তরিত হলে সেই কক্ষগুলো পপুলেশন সায়েন্সকে দেয়। দীর্ঘদিন কক্ষগুলো বন্ধ থাকায় ক্লাসরুমের সংকটের কারণে ২৪ নভেম্বর কলা ভবনের ৩০৭২ নম্বর কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কলা ভবনের ১১০৩ নম্বর কক্ষে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের নেমপ্লেট লাগানো। যেখানে এক বিদেশি গবেষকের নাম রয়েছে। তবে সেটি কখন লাগানো হয়েছে, তিনি কখন এসেছিলেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।

কলা অনুষদের একাধিক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা অনুষদ ছাড়া অন্য অনুষদের ডিনরা তাদের ভবনে কক্ষ বরাদ্দ দিতে পারেন। এখানে স্পেস বরাদ্দ কমিটি আছে। সে কারণে কলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে ডিন ভূমিকা রাখতে পারছেন না। তাদের দাবি, কলা ভবন হবে শুধু কলা অনুষদের জন্য। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে একটা বাস্তবতা ছিল। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কলা অনুষদের সব বিভাগের প্রয়োজনমতো কক্ষ বরাদ্দ দেওয়ার পর কক্ষ অবশিষ্ট থাকলে অন্য অনুষদ কিংবা বিভাগ ব্যবহার করতে পারবে।

কলা অনুষদভুক্ত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম খাদেমুল হক বাংলানিউজকে বলেন, একটি বিভাগ যখন স্থানান্তরিত হয়, তখন কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। তারপর কর্তৃপক্ষ চাহিদা বিবেচনায় যাদের ভালো মনে করবে তাদের সেই কক্ষগুলো বরাদ্দ দেবে। বর্তমানে বন্ধ থাকা কক্ষগুলোও দ্রুত বরাদ্দ দেওয়া হোক, সেটা যে বিভাগ কিংবা অনুষদই হোক না কেন।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, এটা আসলে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি, এরকম না। একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্পেস বরাদ্দ কমিটি আছে। সেই কমিটির চেয়ারম্যান আমাদের প্রো-ভিসি (প্রশাসন)। কলা ভবন একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন। কলা ভবনের মধ্যে কলা অনুষদ আছে। আমি যখন ছাত্রী ছিলাম তখন এখানে তিনটা অনুষদ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন হচ্ছে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদও ছোট্ট একটা প্লটে ভবন করে। আমাদের ১৬টা বিভাগ, কিন্তু ১১তলা পর্যন্ত আমাদের ১৩টি বিভাগের বরাদ্দ দিতে পেরেছি। কিন্তু নৃবিজ্ঞান, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ ও পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ কোনোভাবেই আসতে পারবে না। যারা চলে এসেছে তারা আমাদের চেয়ারম্যানকে (প্রোভিসি) বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে মিটিং করেছি। কিন্তু কিছু কিছু বিভাগ চলে এলেও নতুন ভবনে শিক্ষকদের বসার জায়গা হচ্ছে না। টিচারদের রুমগুলো ছোট ছোট, কলা অনুষদের মতো না। এজন্য কিছু রুমের দরকার আছে। সেটি সভায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।


এক বিদেশি শিক্ষকের নামে কলা ভবনে এখনও রয়ে গেছে একটি কক্ষ

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, কলা অনুষদের বিভাগুলোতে রুম সংকট রয়েছে। সেটি জানিয়ে অনুষদের শিক্ষকরা একটি চিঠি বরাদ্দ কমিটির চেয়ারম্যানকে দিয়েছেন। আমিও কমিটিতে আছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস বরাদ্দ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, কলা অনুষদের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে রুম সংকট নিয়ে আমাকে একটা চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সভা করেছি। সেখানে পাঁচটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমি কমিটির সবাইকে নিয়ে এটার সুষ্ঠু সমাধান করব।

সিলাগালা কক্ষের তালা ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
কলা অনুষদের শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস বরাদ্দ কমিটির সর্বশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৯ নভেম্বর। সেখানে খালি থাকা কক্ষগুলো সিলগালা করার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী কলা ভবনের ২০৮৮, ২০৮৯ ও ২০৯১ কক্ষও সিলগালা করা হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসে সিলাগালকৃত তালাগুলো ভেঙে ফেলেন এবং কক্ষগুলো ল্যাব হিসেবে ব্যবহার করার কথা জানিয়ে পোস্টার লাগিয়ে দেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবারও সিলগালা করা হয়। এর পূর্বে বিভাগের কক্ষগুলোতে স্থানান্তরের নোটিশ লাগানো ছিল।


কক্ষ ছাড়ার পর এলোমেলোভাবে পড়ে আছে আসবাবপত্র 

বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত বক্তব্য বাংলানিউজকে দেন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাইম হাসান। যেখানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের উচ্চভীতির কারণ দেখিয়ে কলা ভবনের কক্ষগুলো ল্যাব হিসেবে ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করা হয়। অভিযোগকারী নাইমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আমার একার বক্তব্য না। বিভাগের সব শিক্ষার্থীর বক্তব্য।

কক্ষের তালা ভাঙার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্ররা কেন তালা ভাঙবে। এটা সাংঘাতিক অপরাধ। এটা আমরা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।

লিখিত বক্তব্যটিতে কলা অনুষদের ডিনের বিরুদ্ধে বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে ‘বিশেষ শিশুরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে এবং তারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে’ এরকম বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

ডিনের বক্ত্যবের কোনো প্রমাণ আছে কিনা জানতে চাইলে নাঈম বলেন, আমরা কর্মকর্তাদের কাছে শুনেছি তিনি এরকম বলেছেন।

তবে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর আমি অটিজম দিবসের প্রোগ্রামে শিশুদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করি। বরকত জাদুঘরের উদ্যোগে আর্ট প্রতিযোগিতা করি অটিজমে ভোগা শিশুদের জন্য। আমার এরকম বক্তব্য দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

এ বিষয়ে যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক তাওহিদা জাহানকে একাধিকবার কল করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বাংলানিউজকে জানান, সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে তারা যে রুম পেয়েছেন সেখানে ল্যাব করা সম্ভব নয়। কারণ, অটিস্টিক শিশুদের লিফটফোবিয়া, উচ্চতাভীতি আছে। সে কারণে কলাভবনে যে রুমগুলো ছিল সেখানে ল্যাব করার জন্য প্রয়োজনীয় যে উপকরণ দরকার তারা সেটি করে ফেলেছেন। আমি মনে করি ল্যাব সিলাগালা করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলা উচিত।

ভোগান্তিতে কলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকায় বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। একটি ক্লাস শেষ করে অন্য একটি ক্লাসের জন্য কলা ভবনের এক তলা থেকে অন্য তলায় ফাঁকা রুম খুঁজতে হয়। আবার অন্য বিভাগের শ্রেণিকক্ষ ব্যবহারকালে সেই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ক্লাস করার সুযোগ দিতে কক্ষ ছাড়া নিয়ে প্রায়ই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলা অনুষদের সবশেষ বিভাগ নৃত্যকলা চালু হয় ২০১৫ সালে। এ বিভাগের শিক্ষকদের জন্য কোনো কক্ষ নেই। তাদের অনুষদের লাউঞ্জে বসতে হয়। এমনকি চেয়ারম্যানের রুমের চেয়ার-টেবিল সরিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হয়।

বিভাগটির একজন শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের তো স্টাডি করতে হয়। এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসের বিরতিতে কোথাও বসার জায়গা নেই। পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না পেলে একাডেমিক্যালি ভালো করা অসম্ভব।

কলা অনুষদের অনেক বিভাগের শিক্ষকদের চেয়ারম্যানের কক্ষে বসতে হয়। একাডেমিক কাজ করতে শিক্ষকদের আলাদা কোনো কক্ষ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছয়জন শিক্ষক একই কক্ষে বসেন। আবার অনেক বিভাগে শিক্ষক হিসেবে সাত বছর পার করলেও কক্ষ পাননি অনেক শিক্ষক। কলা অনুষদের ২-৩টি বিভাগ ছাড়া সব বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপকদেরও একই রুমে দুজনকে বসতে হয়। অথচ সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার কলা ভবনে একাই এক রুমে বসেন। শিক্ষকরা বলছেন, একই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বৈষম্য চলতে পারে না। অপরদিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগে কিচেন রুম, সাত কলেজের জন্যও আলাদা কক্ষ রযেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
এসকেবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।