জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের ৬ জন শিক্ষার্থী বটতলার রাস্তা ধরে হাঁটছিলেন। এসময় সুমাইয়া তার এক বান্ধবীসহ একই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন। এসময় সুমাইয়া ওই ছয় শিক্ষার্থীকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেন। রাস্তা যথেষ্ট ফাঁকা থাকায় ওই ছয়জন রাস্তার ফাঁকা জায়গা দিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় সুমাইয়া উচ্চবাচ্য শুরু করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হস্তক্ষেপে তখনকার মতো বিষয়টি থেমে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর কিছুক্ষণ পর সেখানে সুমাইয়ার ছেলেবন্ধু শিহাব খান দিগন্ত সেখানে যান। তিনি ওই ছয়জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেন। কথা বলার সময় সুমাইয়া পেছন থেকে গিয়ে ওই ছয়জনের মধ্যে একজনের শার্টের কলার ধরে উপস্থিত সবার সামনে চড় দেন। এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোরগোল শুরু হয়। পরে সুমাইয়া ও তার এক বান্ধবী বটতলার একটি দোকানে ঢুকে পড়েন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কয়েকজন সদস্য সেখানে যান। তারা সুমাইয়াসহ সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল কার্যালয়ে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে লাঞ্ছিত হওয়া ওই শিক্ষার্থী বলেন, রাস্তায় যথেষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রী আমাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলে। ভদ্রভাবে রাস্তার ফাঁকা জায়গা দিয়ে তাদের যাওয়ার অনুরোধ করি। কিন্তু ওই ছাত্রী অহেতুক উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। পরে বিষয়টি মিটমাট করতে গেলে হুট করে এসে আমাকে চড় মেরে বসেন। আমি এ ঘটনার ন্যায্যবিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমাইয়া বিনতে ইকরাম চড় মারার বিষয়টি স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, আমাকে নেশাখোর বলায় এর শাস্তি হিসেবে তাকে চড় মেরেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর তাজউদ্দিন শিকদার বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় চাইছি। কাল ডিসিপ্লিনারি বোর্ড ও পরবর্তীতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
এএটি