ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দাখিল পরীক্ষার ৪০০ খাতা চুরি, ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলা 

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২২
দাখিল পরীক্ষার ৪০০ খাতা চুরি, ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলা 

ঢাকা: বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষার ৪০০ উত্তরপত্র (খাতা) চুরির ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় (কমলাপুর) একটি মামলা হয়েছে।  

দিনাজপুরের পীরগঞ্জের দারুস সালাম আলীম মাদ্রাসার গনিতের প্রভাষক মো. বিল্লাল হোসেন শাহ বাদী হয়ে সোমবার রাতে (৩ অক্টোবর) মামলাটি করেছেন।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা রেলওয়ে থানা (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহ‌ম্মেদ বিশ্বাস।

প্রভাষক মো. বিল্লাল হোসেন শাহ এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ২ অক্টোবর বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে ২০২২ সালের চলমান দাখিল পরীক্ষার গণিত বিষয়ের ৪০০টি উত্তরপত্র তিনি নিজে মূল্যায়নের জন্য বেলা ১২টার দিকে বুঝে নেন। উত্তরপত্রগুলো একটি প্লাস্টিকের বস্তায় রক্ষিত ছিল। পরে তার সঙ্গে থাকা রসায়নের প্রভাষক আবুল কাশেম সহ সেই উত্তরপত্রের বস্তাটি নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করার জন্য প্রবেশ করেন। উদ্দেশ্য ছিল কমলাপুর থেকে রাতে ট্রেনে করে দিনাজপুর উদ্দেশে রওনা দেওয়া।
মসজিদের নামাজের স্থলের ডান পাশে বস্তাটি রেখে তারা নামাজ আদায় শেষ করেন। এরপর সেখানে সেই উত্তরপত্রের বস্তাটি আর দেখতে পাওয়া যায়নি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বস্তার সন্ধান মেলেনি।  

তিনি এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই বস্তার ভেতর কোনো মূল্যবান জিনিস আছে মনে করে চোর বা চোরেরা নিয়ে গেছে। পরে বিষয়টি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানানো হয়।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানা (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজ মাহমুদ জানান, মসজিদের ভেতরে ও বাইরের কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। তবে পাশের সোহাগ পরিবহনের অফিসের সিসি ক্যামেরা দেখা হচ্ছে। তবে এখনো চুরি যাওয়া উত্তরপত্রগুলো উদঘাটন করা যায়নি। চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২২
এজেডএস/এসএ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।