ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের অজ্ঞাতপরিচয় এক ছাত্রীর সঙ্গে একান্ত ব্যক্তিগত কথোপকথনের ফোনালাপ ফাঁসের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন এ কমিটি করেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জনাব মো. আলীমুজ্জামান (টুটুল)-এর আপত্তিকর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা আবেদনে উল্লেখ করেছে। এ ধরনের নৈতিক স্খলনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও করেছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর কমিটি গঠন করেছেন।
কমিটিতে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. আলীবদ্দিন খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির অপর সদস্য হলেন চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রহমান।
জানা যায়, ১৬ নভেম্বর টুটুলের অডিও ফাঁসের ঘটনায় শনিবার (১৯ নভেম্বর) তার বহিষ্কার ও বিচারের দাবিতে প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মোহাম্মদ তারেকের কার্যালয়ে ভাংচুর চালায় শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
পরে আন্দোলনকারীরা টুটুলের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে স্মারকলিপি দেয়।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলের নামে ৬ মিনিট ২১ সেকেডের আপত্তিকর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে, যা বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, যারা দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন তাদেরকে বিব্রত করছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট করেছে। এর আগেও ২০১৩ সালে কুষ্টিয়ায় এক শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের গোপন ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হলে গ্রেফতার এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হন টুটুল।
শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত টুটুলের স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। পরে তারা প্রকৌশল অফিসের তালা খুলে দেন এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
এসএ