ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সিলেট বোর্ডে কমেছে পাসের হার, বেড়েছে জিপিএ-৫

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
সিলেট বোর্ডে কমেছে পাসের হার, বেড়েছে জিপিএ-৫

সিলেট: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছর পাসের হার প্রায় ১৮ শতাংশ কমেছে। চলতি বছর এই বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ।

তবে, পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

এবছর সিলেট বোর্ডের অধীনে রেকর্ড সংখ্যক ৭ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

গত বছর এই বোর্ডে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭০০ জন পাস করেছিল। পাসের হার ছিল ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৮৩৪ জন। এরও আগে ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ২৬৩ জন এবং পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ সময় বোর্ডের সচিব কবির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল জানান, চলতি বছর সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করে। তাদের মধ্যে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯০ হাজার ৯৪৮ জন।

সিলেট বোর্ডে ৪৯ হাজার ৫১০ জন ছেলে রেজিস্ট্রেশন করলেও  পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪৯ হাজার ৮৭ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৩৮ হাজার ৬৩৫ জন। আর ৬৬ হাজার ৯৮০ জন ছাত্রী রেজিস্ট্রেশনে করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬৬ হাজার ৩০৪ জন। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৫২ হাজার ৩১৩ জন। ছেলে ও মেয়েদের পাসের হার যথাক্রমে ৭৮ দশমিক ৭১ শতাংশ ও ৭৮ দশমিক ৯০ শতাংশ।

এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২৩ হাজার ৩১৮ জন পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৩ হাজার ২৩০ জন। আর পাস করেছে ২১ হাজার ৭৩৭ জন। পাসের হার  ৯৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

মানবিক বিভাগে ৮৪ হাজার ২৭৩ জন পরীক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৮৩ হাজার ৩১৫ জন। আর পাস করেছে ৮১ হাজার ৪৮৩ জন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।

ব্যবসায় বিভাগে ৮ হাজার ৮৯৯ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেয় ৮ হাজার ৮৪৬ জন। এরমধ্যে পাস করে ৭ হাজার ৭২৮ জন।   এই বিভাগে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজর ৫৬৫ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ২৫৪ জন এবং মেয়ে ৪ হাজার ৩১১ জন৷  গত বছরের চেয়ে এবারে জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭৩১ জন বেড়েছে।

এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৮৯৪ জন, মানবিকে ৩৮৯ হন এবং ব্যবসা শিক্ষায় ২৮৩ জন।

অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীন ৯৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯১ জন শিক্ষার্থী ১৫০টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা শূণ্য।

তবে পাসের হার কমে যাওয়ার পেছনে বিগত দিনে করোনা ও  বন্যা পরিস্থিতিকে অনেকাংশে দায়ি করেছেন বোর্ড সচিব কবির আহমদ। তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিলেও পরিস্থিতির কারণে অনেকে প্রস্তুতি নিতে পারেনি। তাছাড়া করোনার কারণে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে গাইড করতে পারেননি। যে কারণে গ্রামীণ এলাকার শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে এবং শহরের শিক্ষার্থীরা ভার্চ্যুয়ালি যেভাবে পড়ালেখা করতে পেরেছে, গ্রামের শিক্ষার্থীরা এই জায়গাতেও পিছিয়ে ছিল।

এদিকে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীন চার জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে সিলেট জেলার শিক্ষার্থীরা। এই জেলায় পাসের হার ৮১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া সুনামগঞ্জে ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, হবিগঞ্জে ৭৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও মৌলভীবাজারে ৭৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
এনইউ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।