সিলেট: রাত পোহালেই সিলেটের দুটি উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এই ভোটগ্রহণ করা হবে।
ইউনিয়নগুলো হচ্ছে- সিলেট সদরের খাদিমনগর, খাদিমপাড়া ও টুকেরবাজার। এ ৩টি ইউনিয়নে মোট ১৯৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৪৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার উত্তর কুশিয়ারা, উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, মাইজগাঁও ও ঘিলাছড়া এই ৫টি ইউনিয়নে ২৫০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৭২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্নে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার শুক্কুর মাহমুদ।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে কেন্দ্রে ভোটের যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোট গ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, সিলেট সদরের ৩টি ইউনিয়নে ৩৩ কেন্দ্রে স্থায়ী-অস্থায়ী ২২৩টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর ফেঞ্চুগঞ্জের ৫টি ইউনিয়নের ৪৫ কেন্দ্রে ২৫৩টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।
সিলেট জেলা পুলিশের সহকারি মিডিয়া কর্মকর্তা পরিদর্শক শ্যামল বণিক বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৪৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ৫ জনের একটি করে স্ট্যান্ডবাই টিম, ১৫টি মোবাইল টিম, ৫টি স্ট্রাইকিং টিম, থানাগুলোতে স্ট্যান্ডবাই ২টি করে টিম এবং ডিবির ৫টি টিম থাকবে। পাশাপাশি কেন্দ্রগুলোতে আনসার ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে ২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা নির্বাচনে দায়িত্ব থাকবে। আর প্রতিটি ইউনিয়নে ১ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন বিচাররিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
এছাড়া সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন সিলেট সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ৬ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১০ জন করে পুলিশ ফোর্স স্ট্যান্ডবাই থাকবে। সঙ্গে আনসার মিলিয়ে ১৫/১৬ জনের টিমের পাশাপাশি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং টিম, সিআরটি, সাদা পোশাকধারী পুলিশও দায়িত্ব পালন করবে। আর কেন্দ্র প্রতি ১ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ জন বিচাররিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ সূত্র জানায়, ফেঞ্চুগঞ্জের ৫টি ইউনিয়নে ৮৬ হাজার ৭৭০ জন ভোটার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৩ হাজার ৭১৭ জন এবং নারী ৪৩ হাজার ৫৩ জন। উপজেলার উত্তর কুশিয়ারা ইউপিতে ভোটার ১৫ হাজার ৫০৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৮২১ এবং নারী ৭হাজার ৬৮৬ জন। উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউপিতে ভোটার ১১ হাজার ৮৪৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৮৬৪ এবং নারী ৫ হাজার ৯৮২ জন। ফেঞ্চুগঞ্জ ইউপিতে মোট ১৭ হাজার ১৯৮ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৫৪৫ জন এবং নারী ৮ হাজার ৬৫৩ জন। মাইজগাঁও ইউপিতে মোট ভোটার ২২ হাজার ২৭৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ১৬৩ জন এবং নারী ১১ হাজার ১১২ জন। ঘিলাছড়া ইউপিতে ১৯ হাজার ৯৪৪ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৩২৪ জন এবং নারী ৯ হাজার ৬২০ জন।
সিলেট সদরের তিনটি ইউনিয়নে ৮৪ হাজার ৯৩৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ৪৩ হাজার ৩৪৬ জন এবং নারী ৪১ হাজার ৫৯১ জন। এরমধ্যে খাদিমনগর ইউনিয়নে মোট ৩৬ হাজার ৭৭২ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৭৬১ জন এবং নারী ১৮ হাজার ১১ জন। খাদিমপাড়া ইউপিতে ৩১ হাজার ২৮০ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৯৮৫ এবং নারী ১৫ হাজার ২৯৫ জন। আর টুকেরবাজার ইউপিতে মোট ১৬ হাজার ৮৮৫ ভোটারের মধ্যে ৮ হাজার ৬০০ জন পুরুষ এবং ৮ হাজার ২৮৫ জন নারী ভোট দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
এনইউ/এমএমজেড