ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

হলফনামা

আড়াই বছরে এমপি হাবিবের দেনা কমেছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
আড়াই বছরে এমপি হাবিবের দেনা কমেছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা

সিলেট: সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত মাহমুদ উস সামাদের মৃত্যুর পর ২০২১ জুনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বিজয়ী হন হাবিবুর রহমান হাবিব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আড়াই বছর সময় পার করেছেন তিনি।

এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাবিব আওয়ামী লীগে নৌকার টিকিট না পাওয়ার গুঞ্জন ছিল সবখানে। অবশেষে চমক দেখালেন তিনি। নৌকার কাণ্ডারি হিসেবে তাকে বহাল রাখা হয়েছে।   

নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় নিজের সম্পদ বিবরণী জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। তাতে দেখা গেছে, গত আড়াই বছরে হাবিবুর রহমানের ব্যাংকের দেনা আড়াই বছরে ৯ কোটি থেকে কমে ২০ লাখে এসেছে! 

এই আড়াই বছরে তার ব্যাংকের দেনা কমেছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৪২ হাজার ৪০৩ টাকা।

সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন স্নাতক এবং পেশায় ব্যবসায়ী প্রবাসী পল্লী গ্রুপের ডিএমডি।

বর্তমানে তার ব্যাংকে আমানত ৫৪ হাজার ২১১ টাকা, বছরে সম্মানীভাতা পান ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকা। আর স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমি অর্জনকালীন মূল্য দেখিয়েছেন ৩৬ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৮ টাকা এবং একই খাতে স্ত্রীর নামে ২১ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৭ টাকার জমি। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকে একক দেনা দেখিয়েছেন ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৭ টাকা।

এরআগে ২০২১ সালের জুনে উপনির্বাচনে হলফনামায় স্ত্রীর নামে কৃষিখাতে আয় দেখিয়েছিলেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৫০ টাকা। অস্থাবরের মধ্যে তার নামে ছিল ৯৫ লাখ ১৪ হাজার ২৪৯ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ছিল এক কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৮ টাকা। তন্মধ্যে নিজ নামে নগদ টাকা দেখিয়েছিলেন ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ৫ টাকা এবং স্ত্রীর নামে দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩০ টাকা। ব্যাংকে নিজ নামে ৫২ হাজার ২৪৪ এবং স্ত্রীর নামে ছিল ৯ হাজার ৪৪৮ টাকা। শেয়ার ছিল নিজ নামে ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।

উপ-নির্বাচনে হলফনামায় স্থাবর ২৪ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৮ টাকার সম্পদ দেখান। এই সম্পদে অকৃষি ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৮ টাকার এবং পূর্বাচলে ৭ কাঠার একটি প্লটের দাম দেখিয়েছিলেন ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সেসময় পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেডের নামে যৌথ ঋণ দেখিয়েছিলেন ৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।   

এবার হলফনামায় নিজের শেয়ার/সঞ্চয়পত্রে ৫৪ হাজার ২১১ টাকা এবং সম্মানী ভাতা ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকা দেখালেও নগদ কোনো অর্থ দেখাননি হাবিব। বিগত উপ-নির্বাচনে স্ত্রীর নামে কোটি টাকা দেখালেও এবার তা দেখাননি। উপরন্তু স্থাবরের মধ্যে অকৃষি জমি নিজের ও স্ত্রীর নামে কম দেখিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৩
এনইউ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।