ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কুজেন্দ্রর সম্পত্তির কাছে অন্য প্রার্থীরা ‘পানি ভাত’!

অপু দত্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৩
কুজেন্দ্রর সম্পত্তির কাছে অন্য প্রার্থীরা ‘পানি ভাত’! কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

খাগড়াছড়ি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি আসনে মোট ৫জন বৈধ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে এখন পর্যন্ত সম্পদ এবং অবস্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ‘একাই একশ’।

সংসদ সদস্য হিসেবে হ্যাট্রিকের পথে থাকা কুজেন্দ্র অভিজ্ঞতা ও সম্পদে অন্য প্রার্থীদের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে।

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় যেখানে তার স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সেখানে বর্তমান দ্বাদশ সংসদের হলফনামায় স্থাবর অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও যেখানে ছিল ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার সম্পদের বিপরীতে ১ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ।

হলফনামায় দ্বাদশ সংসদে ঢাকার পূর্বাচলের একটি প্লট, কৃষি, অকৃষি জমি দেখানো হয়েছে প্রায় ১১৩ একর। যার মূল্য ১ কোটি ২৬ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৩ টাকা। যেখানে দশম সংসদ নির্বাচনীতে ৪৫ লাখ টাকার ৬৬ একর এবং একাদশ সংসদ নির্বাচনী হলফনামায় ৫৫ লাখ টাকার ৯০ একর জমি দেখানো হয়।

২০১৪ সালের দশম নির্বাচনে নির্মানাধীন ও আধাপাকা মিলে ৩টি বাড়ির দাম দেখানো হয় ২৫ লাখ টাকা।  

সেখানে বর্তমানে দ্বাদশ নির্বাচনে ঢাকার উত্তরার ফ্ল্যাট, ও দীঘিনালার পৈত্রিক বাড়ির দাম দেখানো হয়েছে ৯০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এবং রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালিতে ৪.৮একক ভূমির দাম দেখানো হয় ৩১ লাখ ৫০ হাজার।

বর্তমানে ১টি ল্যান্ড ক্রুজার, ১টি কার, ১টি হার্ডজীপ, ২টি পিকআপসহ মোট ৫টি গাড়ির মূল্য দেখানো হয় ২কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যেখানে ২০১৪ সালের নির্বাচনে সম্পদ বিবরণীতে ছিল ১টি প্রাইভেট কার, ২টি জিপ, ১টি ট্রাক ও মোটরসাইকেলসহ ২৪ লাখ ১০ হাজার টাকার ৫টি গাড়ি।

২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বিবরণীতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নগদ ছিল ৫লাখ এবং ব্যাংকে ছিল ২২ লাখ টাকা। দশ বছর পর বর্তমানে বিবরণীতে তিনি নগদ দেখিয়েছেন ৪ কোটি ৭৮ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৯ টাকা এবং ব্যাংকে আছে ১ কোটি ৮৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৫৮ টাকা।  

বাৎসরিক আয়ের উৎসে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ২০১৪ সালে কৃষিখাতে ২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২৫ লাখ টাকা বাংসরিক আয় করতেন। সেখানে বর্তমানে কৃষিখাতে ৬৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪৬ টাকা এবং ব্যবসা থেকে ৩কোটি ৭ লাখ ৪৩ হাজার ৭০১টাকা আয় দেখিয়েছেন।

গত ১০ বছরে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার স্ত্রী পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মল্লিকা ত্রিপুরার আয়ও বেড়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনী হলফনামায় যেখানে স্থাবর ও অস্থাবর মিলে ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদ দেখানো হয়। সেখানে বর্তমানে স্ত্রীর সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়ায় ৪ কোটি ৮২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৫৭ টাকা।  

এদিকে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার তুলনায় অন্যান্য প্রার্থীদের তেমন কিছু নেই। রাজনীতিতে তরুণ মুখ জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী মিথিলা রওয়াজা পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী। আয়ের উৎস চাকরির বেতন বাৎসরিক ৩ লাখ ৫০হাজার ৫০০ টাকা। নগদ অর্থ আছে ৩ লাখ টাকা এবং ব্যাংকে জমা ২ লাখ টাকা।

তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশ্যৈপ্রু মারমা আয়ের উৎস কৃষি এবং ব্যবসা দেখিয়েছেন। বছরে কৃষি থেকে ৫ লাখ টাকা এবং ব্যবসা থেকে আয় করেন ৫ লাখ টাকা। বর্তমানে নগদ ৩ লাখ এবং ব্যাংকে আছে ৫০ হাজার টাকা।

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. মোস্তফা। কনসালটেন্সি পেশা থেকে বাৎসরিক আয় ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তিনি নগদ ৩ লাখ টাকা এবং ব্যাংক হিসাবে ২ হাজার ৫০০ এবং ২ লাখ টাকার বন্ড উল্লেখ করেছেন।

নির্বাচনে জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেনের আয়ের মূল ভরসা পরিবার। পরিবারিকভাবে বছরে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পান। নগদ ৫ লাখ টাকা এবং ব্যাংকে ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩
এডি/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।