ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রামুতে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ফাঁকা গুলি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
রামুতে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ফাঁকা গুলি

কক্সবাজার: কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের ঈগল প্রতীকের প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের সাইমুম সরওয়ার কমলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়।

খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরূপম মজুমদারের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বুধবার (৩ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জোয়ারিয়ানালা মাদ্রাসা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল শামসুউদ্দিন আহমদ প্রিন্স বলেন, মাদ্রাসা গেট এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের ঈগল প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছিলাম আমরা। এ সময় নৌকার প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের সমর্থকেরা এসে আমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তারা আমার ওপর হামলা চালানো হয়।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, এমপি কমল নিজেই হামলা করেন। এ সময় লোকজন এগিয়ে এলে তিনি (কমল) কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন।

তবে পাল্টা অভিযোগ করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, জোয়ারিয়ানালা এলাকায় আমার পূর্ব নির্ধারিত পথসভা ছিল। সেখানে যাওয়ার সময় প্রিন্সের নেতৃত্বে আমার গাড়ির গতিরোধ করা হয়। এক পর্যায়ে আমার ওপর হামলার চেষ্টা চালানো হয়। আমার জিপের সামনের গ্লাস ভেঙে দেওয়া হয় এবং ভীতি সঞ্চার করতে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে আমার সমর্থকেরা এগিয়ে এলে দুই পক্ষের লোকজনের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।

জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নেরর চেয়ারম্যান প্রিন্সের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কমল বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজন চিহ্নিত ডাকাতও ছিল। অনেকের হাতে কাটা বন্দুক ও লাঠিসোঁটা দেখা গেছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান জানিয়ে রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরূপম মজুমদার বলেন, পক্ষে বিপক্ষে  নির্বাচনী প্রচারণা চালানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় কেউ হতাহত হননি।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৩
এসবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।