কুমিল্লা: কুমিল্লায় জামানত হারাচ্ছেন জাতীয় পার্টির সব প্রার্থীসহ মোট ৭৬ জন প্রার্থী। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ১১টি আসন থেকে ভোটে অংশ নেন ৯৩ প্রার্থী।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত বার্তাশিটগুলো বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য জানা গেছে।
ভোটের ফলাফলের বার্তাশিট থেকে দেখা যায়, কুমিল্লায় এবার ২১টি দল নির্বাচনে অংশ নেয়। ২১টি দল থেকে প্রার্থী হন ৭৩ জন। স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করেন ২০ জন। আওয়ামী লীগ থেকে ১১ জন, জাতীয় পার্টি থেকে ১০ জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকে সাতজন, ইসলামী ঐক্যজোট থেকে পাঁচজন, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও গণফ্রন্ট থেকে চারজন করে, গণফোরাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে তিনজন করে, বিএনএফ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাসদ ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে দুজন করে, ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দালন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি থেকে একজন করে প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।
২০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। তাদের মধ্যে চারজন বিজয়ী হয়েছেন। তিনজন জামানত হারিয়েছেন। একজন নির্দিষ্ট ভোটের দশমিক শূন্য দুই গুণ ভোট কম পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাঈম হাসান কুমিল্লা-১ আসন থেকে নির্বাচন করে ২৩ হাজার ৬৭৩ ভোট পান। সেখানে বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৮৮ হাজার ৮১৫। নাঈম বৈধ ভোটের প্রায় ৭ দশমিক ৯৮ ভাগ ভোট পান। জামানত থাকতে হলে বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়।
কুমিল্লা-৫ আসনে বৈধ ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৯। এ আসনের আলোচিত প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা শওকত মাহমুদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তিনি পেয়েছেন মাত্র ছয় হাজার ৯৮০ ভোট।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২৪
এসআই