ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম: রকিব কমিশনের পথে হাঁটছে আউয়াল কমিশন

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৪
ইভিএম: রকিব কমিশনের পথে হাঁটছে আউয়াল কমিশন

ঢাকা: হাজার কোটি টাকার অকেজো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার উপযোগী করতে না পেরে পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে প্রায় আট বছর আগের কাজী রকিবউদ্দীন কমিশনের পথেই হাঁটছেন এরাও।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি মেশিন অচল হয়ে পড়ায় তা আর ব্যবহার উপযোগী করতে পারেনি রকিব কমিশন। পরবর্তীতে তারা বুয়েটের তৈরি স্বল্প মূলের ওই মেশিনগুলো পুড়িয়ে ফেলে উন্নত মানের ইভিএম তৈরির সিদ্ধান্ত রেখে যায়।

২০১৬ সালে পরবর্তী কেএম নূরুল হুদার কমিশন এসে বুয়েটের তৈরি ইভিএমের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি দামে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে ইভিএম তৈরি করে নেয়।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক পূর্বে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে উন্নতমানের ইভিএম তৈরি করে নেওয়া হয়। এতে মেশিন প্রতি ব্যয় হয় দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকার মতো। হাতে নেওয়া হয় তিন হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প।

প্রকল্প থেকে দেড় লাখের মতো ইভিএম কেনে রকিব কমিশন। তবে সেই উন্নত মানে ইভিএম পাঁচ বছর যেতে না যেতেই অকেজো হওয়া শুরু করে। কন্ট্রোল ও ব্যালট ইউনিট মিলে একটি সেট, যা একটি ইভিএম হিসেবে ধরা হয়।

কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২৩ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে এসে প্রায় প্রতিটি সেটেই কোনো না কোনো সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় ৪০ হাজারের মতো মেশিন ব্যবহার অনুপযোগী হয়েছে পড়ে। অবশিষ্ট এক লাখ ১০ হাজারের মেশিনের মধ্যে অধিকাংশগুলোতে ধরা পড়ে নানা ধরনের ত্রুটি। কিন্তু মেরামতের জন্য নেই নতুন কোনো প্রকল্পের অর্থের জোগান। ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার ইভিএম অচল হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। সেই শঙ্কাই এখন সত্য হতে চলেছে। কেননা, অকেজো মেশিন মেরামত, সংরক্ষণ প্রভৃতির জন্য সাড়ে ১২শ কোটি টাকার প্রস্তাব দিলে সরকার সেটি নাকচ করে দেয়।

বর্তমানে নষ্ট ইভিএমগুলো পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্তের দিকে যাচ্ছে ইসি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ওই বৈঠকে কার্যবিবরণী বলছে, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম কোয়ালিটি চেক (কিউসি) করে অকেজো ইভিএম সংখ্যা নির্ধারণের জন্য প্রকল্প পরিচালককে নির্দেশনা দিয়েছেন। বর্তমানে সেই কাজ চলছে। কিউসি শেষ হলেই বাস্তবায়ন করা হবে সিদ্ধান্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৪
ইইউডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।