ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ছেলের পক্ষে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে শাজাহান খানকে চিঠি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৪
ছেলের পক্ষে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে শাজাহান খানকে চিঠি

মাদারীপুর: মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বুধবার (৮ মে)। এদিকে নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছেলের পক্ষে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে সংসদ সদস্য শাজাহান খানকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

 

সোমবার (৬ মে) রাতে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে গত রোববার বিকেলে চিঠিটি শাজাহান খানের মাদারীপুর বাসভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছেন শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান আসিব খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাজাহান খানের চাচাতো ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান। চাচা-ভাতিজার এ লড়াইয়ে উভয়ই পরস্পরের বিরুদ্ধে করছেন বিস্তর অভিযোগ।

এদিকে নির্বাচনে এলাকায় থেকে কোনো সংসদ সদস্য প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না– এমন নীতিমালা থাকলেও তা অমান্য করে ছেলের পক্ষে প্রচারণায় কাজ করার অভিযোগ ওঠে শাজাহান খানের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শাজাহান খানের চাচাতো ভাই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগও দেন।

অভিযোগে বলা হয়, সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে শাজাহান খান ছেলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। গোপনেও ইউনিয়ন পর্যায়ে একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়া শফিক খান সংবাদ সম্মেলন করেও সাংবাদিকদের এ অভিযোগ জানান।

চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান বলেন, নির্বাচন কমিশনে ১৫টিরও বেশি চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেখানে ২২টি অভিযোগ করা হয়েছে। একটিরও কোনো ব্যবস্থা নেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশনের এমন চুপ থাকাটা প্রশ্নবিদ্ধ। শাজাহান খানের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের দিন ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করা হবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে। এতে সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করে আসিবুর রহমান আসিব খান বলেন, নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নানা কিছু করে যাচ্ছেন শফিক খান। বিভিন্ন মানুষের মাঝে টাকা ছড়াচ্ছেন, বহিরাগতদের দিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন, এর কারণ তিনি বিজয়ী হতে পারবেন না, এটা জেনে গেছেন।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে শাজাহান খান বলেন, মাদারীপুরে যখন থাকি, তখন স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথাবার্তা বলি। এর বাইরে অন্য কিছু না। যারা অভিযোগ দিচ্ছে, তারা ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য এ কাজ করছে।

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী বলেন, শফিক খানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাজাহান খানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী কোনো কার্যক্রমে অংশ না নিতেও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।