মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে দ্বিতীয় ধাপে ঘিওর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন মাহাবুবুর রহমান জনি। তার নির্বাচনী প্রতীক শালিক।
মাহাবুবুর রহমান জনি বলেছেন, জেলার ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে আমি জড়িত এবং ঘিওর উপজেলার তরুণ ও ছাত্র সমাজের সঙ্গে আমার গভীর সুসম্পর্ক আছে। বলতে গেলে ঘিওরবাসী এবং তরুণদের অনুরোধেই এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।
আসন্ন ঘিওর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে মঙ্গলবার (৭ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি। প্রায় সাত বছর জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এ ছোট্ট জায়গা (জেলা পরিষদের সদস্য) থেকে জনগণের পাশে থেকে তেমন একটা কাজ করা যায় না। সাত বছর ধরে আমি জেলা পরিষদের সদস্য থাকায় সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রজীবনে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রসংসদে বিপুল ভোটে এজিএস নির্বাচিত হয়েছিলাম। জেলা পরিষদ নির্বাচনে পর পর দুইবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনে প্রথমবার সদস্য, দ্বিতীয়বার যুগ্ম সম্পাদক হয়েছি। সেই সঙ্গে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছি। তাই শুরু থেকেই আমি জনগণের সঙ্গে আছি। সাধারণ জনগণের চাওয়ার কারণেই এবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। নির্বাচিত হলে ঘিওরকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব। উপজেলার জনগণ ও তরুণদের অনুরোধেই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে এসেছি। আমি ভাবিনি যে উপজেলার মুরুব্বিরা আমাকে এভাবে বুকে টেনে নেবেন, এমন ভালোবাসা পাবো কখনোই ভাবিনি। অপরদিকে নতুন প্রজন্মের ভোটাররা আমাকে ভোট দেবে বলে আশা করি।
এদিকে সব বয়সের ভোটারদের কাছেই মাহাবুবুর রহমান জনির জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়।
উপজেলায় মোট সাতটি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় শুরু থেকেই ব্যাপক গণসংযোগ করছেন জনির কর্মী-সমর্থকরা।
সবচেয়ে বেশি সাড়া পড়েছে যুবসমাজের মধ্যে। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, শালিক প্রতীকে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী জনি অন্য প্রার্থীদের তুলনায় ব্যাপক জনপ্রিয়। কারণ হিসেবে সাধারণ ভোটাররা বলছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত। তাই উপজেলার সব এলাকায় দল-মত-নির্বিশেষে সবার সঙ্গেই চমৎকার সম্পর্ক তার।
মাহাবুবুর রহমান জনি পর পর দুইবার জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, শ্মশানঘাট, মন্দিরসহ এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বেশির ভাগেরই পছন্দের প্রার্থী তিনি। পাশাপাশি গত রমজানে পুরো মাস উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসা, ক্লাব এবং ভবঘুরেদের মাঝে ইফতারি বিতরণ করে সাধারণ মানুষের প্রশংসা পেয়েছেন।
তার দাদা, বাবা, চাচা, ভাইয়েরা সংসদ সদস্য থেকে ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জনসাধারণের মাঝে একটা শক্ত অবস্থান রয়েছে তার।
ঘিওর উপজেলার তরা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা উসমান গনি বলেন, শুধু নির্বাচন বলে না, জনি সব সময়ই বিপদগ্রস্ত, অসহায় লোকের পাশে দাঁড়ান। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে মূলত আমরা মুক্তিযোদ্ধারাই তাকে এই নির্বাচনে দাঁড়াতে বলেছি। তিনি নির্বাচিত হলে এলাকায় অনেক উন্নয়ন হবে।
কয়েকজন সনাতন ধর্মাবলম্বী ভোটার জানান, মাহাবুবুর রহমান জনির কাছে কেউ গেলে খালি হাতে ফেরে না। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা তাকে আস্থার মানুষ হিসেবে চেনে। এ কারণে দল-মত-নির্বিশেষে তাকে ভোট দেওয়া আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমরা আশা করি, বেশির ভাগ ভোট তিনিই পাবেন।
মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আমিনুর রহমান মিঞা বলেন, ঘিওর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নয়জন চেয়রাম্যান পদে, সাতজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং চারজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার লক্ষ্যে আমরা সব প্রস্তুতি নিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৪
এসআই