ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

হিরো আলমসহ ৩৪ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
হিরো আলমসহ ৩৪ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হিরো আলম। ফাইল ফটো

বগুড়া: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে মোট ৪৭ জন ব্যক্তি লড়াই করেছেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী ভোট না পাওয়ায় এবারের নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন ৩৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে আলোচিত স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমসহ একজন বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন।

সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন কর্মকর্তা এ এস এম জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এবারের নির্বাচনে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রত্যেক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জামানত হিসেবে ২০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়েছে। আর এই জামানতের টাকা ফেরত পেতে হলে প্রার্থীকে তার আসনে মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হবে।


 
তিনি আরও জানান, এই পরিমাণ ভোট না পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী জামানত হারাবেন। নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জামানত হিসেবে জমা দেওয়া সেই টাকা ফেরত পাবেন না।
   
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হয়ে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি সংসদীয় আসনে ইসলামী আন্দোলনের সাতজন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এই দলের প্রার্থীরা নিয়ম অনুযায়ী মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাননি।  

একই কারণে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) তিনজন প্রার্থী, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) দু’জন প্রার্থী, কমিউনিস্ট পার্টির দু’জন প্রার্থী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দু’জন প্রার্থী, ন্যাশনালিস্ট আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) দু’জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

এছাড়া জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), মুসলিম লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট, জাকের পার্টি ও তরিকত ফেডারেশন থেকে একজন করে প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এসব প্রার্থীদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনকারী নয়জন প্রার্থীর মধ্যে দু’জন ছাড়া বাকিরা সবাই একই নিয়ম অনুযায়ী জামানত হারিয়েছেন।

এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মহাজোট প্রার্থী (জাতীয় পার্টি) অ্যাডভোকেট আলতাফ আলী মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাননি। নিয়ম অনুযায়ী তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

একইভাবে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য কাজী রফিকুল ইসলাম মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাননি। তিনিও এবারের নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন।

অপরদিকে বহুল আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু তিনি ভোট পান মাত্র ৬৩৮টি। তিনিও জামানত হারানোদের তালিকায় রয়েছেন। অবশ্য তিনি ভোট চলাকালে তাকে মারধর ও ভোট সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
এমবিএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।