ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ইঙ্গিত সিইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের ইঙ্গিত সিইসির

ঢাকা : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে বসে এ কথা জানান।

সিইসি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর চেষ্টা করবো। পেশীশক্তি যাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাইবো। নির্বাচন কমিশন একা করবে না। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমনকি সেনাবাহিনীরও অংশগ্রহণ প্রয়োজন হতে পারে। আমরা সে অর্থে কাজও করবো।

নির্বাচন সংক্রান্ত আইনে আমাদের বেশ খানিকটা ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে যেন সম্ভাব্য সহিংসতা বা পেশি শক্তির প্রয়োগ হ্রাস করতে পারি, বলেও উল্লেখ করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে সিইসি বলেন, যে সংশয়, আস্থাহীনতা আছে তা নিয়ে অবহিত আছি। আমরা অন্ধভাবে ইভিএম নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে এর যে কিছু ভালো বা মন্দ দিক যা আছে সেটাকে আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সেই সম্ভাব্যটা কতটা বস্তুনিষ্ঠ তা পরীক্ষা করে দেখার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনে সব দলকে আহ্বান করছি, এবং করে যাবো। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যে দায়িত্ব নিয়েছি আইন ও সংবিধানের অধীনে, সেই দায়িত্ব অনুযায়ী আমাদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। কোনো দল না আসলে আমরা বাধ্য করতে পারবো না। তবে বারবার আমরা আপনাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।

সিইসি আরও বলেন, আপনাদের (দলগুলোর) প্রস্তাবগুলো যুক্তিযুক্ত। এজন্য আপনাদেরও সবল ও সরব হতে হবে। আমরা আরও সবল হবো। জাতীয় নির্বাচনটা কিন্তু হেলাফেলার জিনিস নয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন হবে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সংগঠন ক্যাবিনেট গঠন হবে। কাজেই আমরা মনে করি নির্বাচনটা হেলাফেলা নয়, নির্বাচনটা জন প্রতিনিধিত্বমূলক এবং জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন হওয়া উচিত। এজন্য একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন, যেখানে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে।

সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ মুকিতের নেতৃত্বে দলটির ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
ইইউডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।