ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাতের ঘুম নষ্ট হচ্ছে কেন, প্রশ্ন সিইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
রাতের ঘুম নষ্ট হচ্ছে কেন, প্রশ্ন সিইসির

ঢাকা: নির্বাচনী পদ্ধতির পরিবর্তন আনার পক্ষে সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলগুলোর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।  

তিনি বলেন, আমাকে আজকে এতো বড় চ্যালেঞ্জ, এতো চিন্তা করতে হচ্ছে কেন? রাতের ঘুম নষ্ট করতে হচ্ছে কেন? 

রোববার (৩১ জুলাই) নির্বাচন ভবনে জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সংলাপে বসে সিইসি এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।

বৈঠকে জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।  

দলের পক্ষ থেকে সাত দিনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তোলেন চুন্নু। এছাড়া প্রাপ্ত ভোটের হারের ভিত্তিতে সংসদের আসন বন্টন (প্রোপরশনাল ইলেকশন) ও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করার প্রস্তাবও তোলা হয়।  

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, একাধিক দিনে ভোটগ্রহণের জন্য আরও কতগুলো দলের কাছ থেকে প্রস্তাবনা পেয়েছি। যেহেতু প্রায় ১২ কোটি ভোটার বা ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্র হবে। আমাদের যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্তি, তা সংখ্যানুপাতিক দিক থেকে কম।

এদিকে থেকে যেটা আপনারা বলছেন, এক্ষেত্রে ফলাফল প্রকাশ পেয়ে গেলে পরবর্তী দিনের জন্য সমস্যা হবে না? সিইসির এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফলাফল একদিনে প্রকাশ হবে বলে চুন্নু প্রস্তাব রাখেন।  

তিনি বলেন, সাত দিনে নির্বাচন করবো। এরপর ভোট আর্মির কাছে জমা দেবো এবং সব কেন্দ্রে সিসি টিভি ক্যামেরা থাকবে, এই জিনিসগুলো করতে পারেন। একাধিক দিনে হলে ভোট গণনা হবে সবার পরে, একদিনে।  

এরপর কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কাউকে না কাউকে নেতৃত্বে সুলভ ভূমিকা নিয়ে সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান যে সিস্টেম এতে আমি যতই দক্ষতা দেখাই না কেন, পরিপূর্ণ সবার কাছেই একেবারে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ওঠে আসা খুব কঠিন।

তিনি বলেন, আন্তরিকভাবে সবাই সাহায্য করবেন আমাদের এটাও নিরাশা। এর ফলে আমার ডিপেন্ড করতে চাই সিস্টেমের ওপরে। আমাকে আজকে এতো বড় চ্যালেঞ্জ, এতো চিন্তা করতে হচ্ছে কেন? রাতের ঘুম নষ্ট করতে হচ্ছে কেন? একটা সিস্টেম প্রবর্তন করতে পারলে প্রপরশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ যে সিস্টেমটা, আমি কিন্তু পুরোপুরি এখনো জানি না, এটা কী আমাদের দেশের জন্য উপযুক্ত নয়? অথবা আমাদের যে পলিটিক্যাল সেন্টিমেন্টের সঙ্গে কী এটা যায় না বা খাপ খায় না? 

তিনি বলেন, এই জন্য আপনারা গবেষণা করতে পারেন। ওয়ার্কশপ করতে পারেন। এটা আমি মনে করি, আপনারা একটা সুন্দর সিস্টেম চাচ্ছেন। অর্থাৎ আপনারা ভোট কারচুপি করতে চাচ্ছেন না।  

আমি দরিদ্র মানুষ। সেমিনার করার পয়সা আমার (ইসির) নাই। কিন্তু আপনাদের আছে আমি জানি। আপনারা পলিটিক্যাল সায়েন্সের প্রফেসরদের বলেন, পলিটিক্যাল কলিগদের বলেন যে আপনারা আসেন, শুনেন আমাদের। তাহলে হবে কী, একটা সহমত গড়ে ওঠবে, একটা ঐক্যমত গড়ে ওঠবে,। তখন আমাদের আপনাদের সঙ্গে এতো বসতে হবে না। সিস্টেম নির্বাচন করে দেবে।

তিনি আরও বলেন, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করবো। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে, শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তাহলে ভারসাম্য হবে। আমরাও আমাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।

আমরা আশা রাখছি, নির্বাচনের সময় সরকারের কাছ থেকেও সহায়তা পাবো। আমরা বিশ্বাস করি, সবাই আন্তরিকতা থাকলে, সবাই সমবেত চেষ্টা করলে যতই কঠিন হোক অনেকটা ফসল আমরা তুলে আনতে পারবো।

সংলাপে অন্যদের মধ্যে সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুলােই ৩১, ২০২২
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।