ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব সব্যসাচী লেখককে উৎসর্গ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৬
স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব সব্যসাচী লেখককে উৎসর্গ

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় একযোগে ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হলো ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’। রোববার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

অনুষ্ঠানে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি, মোরশেদুল ইসলাম ও মানজারে হাসীন মুরাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী। এ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্যপ্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে।

উৎসব চলবে আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় দেখানো হয় জহির রায়হানের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’, মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আগামী’, তারেক মাসুদের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘আদম সুরত’, আমিনুর রহমান মুকুল পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য  চলচ্চিত্র ‘অবরোধ’ এবং ইয়াসমিন কবিরের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘পরবাসী মন আমার’।

সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় থাকবে শান্তনু হালদারের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘দি ওয়েভ’, রোকনুজ্জামান অর্ক পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য  চলচ্চিত্র ‘নয়ন তারা’, শাহীন দিল রিয়াজের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘লোহাখোর’ এবং শহীদুল ইসলাম অলি পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য  চলচ্চিত্র ‘তাৎপর্যবিহীন’। সন্ধ্যা ৬টায় দেখানো হবে এনায়েত করিম বাবুলের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘চাক্কি’, সুমনা সিদ্দিকী পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাধো’, সেন্টু রায়ের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘আলতাফ মাহমুদ’, রোকেয়া প্রাচী পরিচালিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘বায়ান্নর মিছিলে’ এবং মৃদুল মামুনের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘সবাই একজাত’।

এ আয়োজনে প্রদর্শনীর জন্য দুই শতাধিক চলচ্চিত্র থেকে পাঁচ সদস্যের সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয় ৩৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ২৯টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে নির্মিত উল্লেখ্যযোগ্য চলচ্চিত্র থেকে ১১টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র এবং ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচন করা হয়। সব মিলিয়ে ৬৪ জেলায় একযোগে প্রদর্শিত হবে ৮৪টি চলচ্চিত্র। এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম ও বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ।

পাঁচ সদস্যের জুরি কমিটির বাছাইয়ের মাধ্যমে উৎসবে অংশগ্রহণকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা নির্মাতা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত সেরা চলচ্চিত্রের জন্য দু’জনকে ১ লাখ টাকা করে এবং সেরা দু’জন নির্মাতাকে ৫০ হাজার করে প্রদান করা হবে। এ ছাড়া থাকবে ক্রেস্ট ও সনদপত্র। বিশেষ জুরি পুরস্কার প্রাপ্তকে দেওয়া হবে ক্রেস্ট ও সনদপত্র। উৎসবের জন্য নির্বাচিত চলচ্চিত্রের নির্মাতাদেরও সনদপত্র প্রদান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।