ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

এক্সট্রাকশন

এটা কোনো সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা নয়

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
 এটা কোনো সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা নয়

দুর্বল-অসংগতিপূর্ণ গল্প ও ঢাকাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনা করার কারণে ‘এক্সট্রাকশন’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল বিতর্ক, যা থামছেই না। 

এটি ‘অ্যাভেঞ্জার্স' সিরিজের থরখ্যাত ক্রিস হেমসওয়ার্থ অভিনীত নেটফ্লিক্সের সিনেমা। সাড়ে ছয় কোটি ডলার বাজেটের সিনেমাটির মূল দৃশ্যায়ন হয়েছে ভারত ও থাইল্যান্ডে।

ঢাকায় কোনো শুটিং না হলেও কিছু দৃশ্য (ড্রোন শট) ধারণ করা হয়।  

এদিকে ঢাকা অংশের টিমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারিক আনাম খান ও তার ছেলে আরিক আনাম খান। তারিক আনাম খান বাংলাদেশ অংশের প্রোডাকশন সুপারভিশনে ছিলেন। ভাষাগত পরামর্শক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশের ওয়াহিদ ইবনে রেজা আর ডায়ালেক্ট কোচ রাফায়েন আহসান।  

‘এক্সট্রাকশন’ নিয়ে অনেকের আলোচনা-সমালোচনার জবাবে আরিক আনাম বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। কিন্তু তা একেবারেই কিছু না জেনে করছেন। আমরা এ সিনেমার শুধু বাংলাদেশ অংশের শুটিংয়ের ম্যানেজমেন্ট করেছি, যা সিনেমার মাত্র ২ শতাংশ।  

‘আমরা যখন এর সঙ্গে যুক্ত হই, তত দিনে ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন। আমাদের বলা হয়েছে কী ধরনের লোকেশন তারা চায়, আমরা সেটা পেতে তাদের সাহায্য করেছি। ঢাকায় কোনো অভিনেতাও আসেননি, তারা শুধু কিছু ড্রোন শট নিয়েছে রাস্তাঘাটের। তবে কাজ করার সময় আমরা জেনে নিয়েছি, এর গল্প কোনোভাবে আমাদের দেশের মানুষ, ধর্ম বা সরকারের বিরুদ্ধে কিনা। ’

তিনি আরও বলেন, ‘হলিউড খুব গুরুত্বপূর্ণ না হলে কারও সঙ্গে পুরো স্ক্রিপ্ট শেয়ার করে না। তাই আমাদের পক্ষেও জানা সম্ভব ছিল না, তারা কী গল্প নিয়ে কাজ করছে। সুতরাং ঢাকাকে কেনো এভাবে দেখানো হলো? ঢাকা নিয়ে সিনেমা কিন্তু আমাদের দেশের কোনো অভিনেতা কেন নেই? এসব ব্যাপারে আমাদের হাতে কিছুই ছিল না।  

‘তবে এই সিনেমাটি যতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, সেটা ঠিক না। এটা কোনো ডকুমেন্টারি বা সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা নয়। কাল্পনিক একটি গল্প। এতে আমাদের দেশকে যেভাবেই দেখানো হোক, তাতে দেশের যে সুনাম বা বাস্তবতা, তা বিশ্বের কাছে বদলে যাবে না। ’ 

তারিক আনাম বলেন, সিনেমাটির কোনো তারকা ঢাকায় আসেননি। পরিচালকের সঙ্গে শুধু মাত্র কয়েকজন ক্রু এসেছিলেন। সব শুটিং বাইরেই হয়েছে। শুধু দু’দিনের জন্য পরিচালক ও কয়েকজন টিম মেম্বার ঢাকায় এসে পুরান ঢাকার কিছু এলাকার দৃশ্য শুট করে নিয়ে যান। এরপর ভিএফএক্স ব্যবহার করে দৃশ্যগুলো সিনেমায় যুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।