মাগুরা: মাগুরা সদর উপজেলার আঠারোখাদা ইউনিয়নের বাঁশকোঠা গ্রামে অজ্ঞাত রোগে এক পরিবারের পাঁচটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। গত পাঁচদিনের ব্যবধানে গরুগুলো মারা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ওই গ্রামের অন্যান্য গরু খামারিরা। তবে পশু চিকিৎসক বলছে, নেপিয়ার ঘাস খাওয়ানোর ফলে নাইটেড পয়জনিংয়ের ফলে মৃত্যু হতে পারে।
বাঁশকোঠা গ্রামের প্রদীপ কুমার বিশ্বাসের পাঁচটি গরু গত বুধবার (৩ এপ্রিল) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে বুধবার রাতে একটি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি, শুক্রবার সকালে একটি ও শনিবার সন্ধ্যায় আরও একটি গরুর মৃত্যু হয়। পাঁচ গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা বলে জানান এ খামারি।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) প্রদীপ কুমারের বাড়ির পাশেই কার্তিক চন্দ্র মল্লিক নামের অপর খামারির একটি গরুর মৃত্যু হয়। যার মূল্য আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা।
কৃষক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, পাঁচটি গরু স্থানীয় চিকিৎসক দেখানো হয়েছিল। তবে ওই রাতেই একটি গরুর মৃত্যু হয়।
ঠিক কী রোগ হয়েছে জানাতে পারেনি চিকিৎসকরা। এখন আমার যে গরুটি আছে সেটি অসুস্থ। এটিও বাঁচবে কি না বুঝতে পারছি না।
অপর খামারি কার্তিক চন্দ্র মণ্ডলের স্ত্রী শ্রীমতী মণ্ডল বলেন, আমাদের আটটা গরুর মধ্যে হঠাৎই মঙ্গলবার একটা গরু মারা যায়। তার দাম প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। কী কারণে মারা গেল কিছুই বুঝতে পারছি না। এখন বাকি যে গরুগুলো আছে তাদের কী হবে সেটা ভেবে ভয়ে আছি।
বাঁশকোঠা গ্রামের বাবুলাল বিশ্বাস বলেন, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই গরু রয়েছে। হঠাৎ অজ্ঞাত রোগের দুইটি পরিবারের চারটি গরু মারা যাওয়ার ফলে গ্রামবাসী চিন্তিত হয়ে পড়েছে। ঠিক কী কারণে গরুগুলো মারা যাচ্ছে দ্রুত সেটি বের করা প্রয়োজন।
জেলা প্রাণী সম্পাদক কর্মকর্তা ডাক্তার মিহির কান্তি বিশ্বাস বলেন, নেপিয়ার ঘাস ও মসুরীর উচ্ছিষ্ট খাওয়ানোর ফলে নাইটেড পয়জনিংয়ের ফলে গরুগুলোর মৃত্যু হতে পারে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ঘাসগুলো পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৪
এসআরএস