ঝালকাঠি: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝালকাঠিতে রাত থেকেই প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।
জেলা শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট, অলিগলির বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। বেশ কয়েকটি প্রধান সড়কও পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।
জেলার চার উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে এসব এলাকার লক্ষাধিক মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া তলিয়ে গেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মাদরাসা।
দেখা যায়, সোমবার (২৭ মে) সকাল থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও প্রবল বেগে বাতাস বইছে। ফলে জেলার চারটি উপজেলার নদীপাড়ের কয়েক হাজার মানুষ তাদের গবাদিপশু নিয়ে গত রাত থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
প্রবল বাতাসের কারণে আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে থাকা গাছ উপড়ে গিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। খুঁটি পড়ে গিয়ে গত রাত থেকে জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ঘর-বাড়িতে পানি উঠেছে। ফলে রান্নাবান্না করা যাচ্ছে না।
জেলার প্রত্যন্ত এলাকার মাছের ঘের, পুকুর ও জলাশয়, ফসলের ক্ষেত এবং পানের বরজ তলিয়ে গেছে পানির নিচে।
সোলেমান নামের এক বাসিন্দা বলেন, যদি এভাবেই পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে থাকে, তাহলে এখনো যেটুকু বাকি আছে তাও তলিয়ে যাবে। রাত থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে, প্রবল বেগে বইছে হাওয়া। ফলে বাসা থেকে বের হতে পারছি না।
জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম জানান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, জেলা রেড ক্রিসেন্ট, স্বাস্থ্য বিভাগ সবাই বন্যা পরিস্থিতিতে কাজ করছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে, করা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
এসআই