ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

গণ্ডার হত্যা ঠেকাতে সিবিআইয়ের তদন্ত চায় আসাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৩
গণ্ডার হত্যা ঠেকাতে সিবিআইয়ের তদন্ত চায় আসাম

ঢাকা: ভারতের আসাম রাজ্যে এবং রাজ্যের ও দেশের সবচেয়ে বড় জাতীয় পার্কে গণ্ডার হত্যা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজ্যটি থেকে গত বছর ৪০টির মতো গণ্ডার হত্যা করা হয়েছে।

  ক্রমবর্ধমান গণ্ডার  হত্যার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে অভিযোগ রাজ্য সরকারের। গণ্ডার শিকার বা হত্যার পেছনের কারণ উদ্ঘাটনের জন্য কাজিরাঙ্গা জাতীয় পার্ক ও রাজ্যের অন্যান্য স্থানে সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে আসাম সরকার।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন,“ (গণ্ডার) হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। সিবিআইয়ের তদন্তের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্র এবং এর সঙ্গে জড়িত কিছু উগ্রপন্থি, বনবিভাগের কর্মকর্তা ও অন্যান্য পশুহত্যাকারীদের মুখোশ খুলে দেওয়া হবে। ”

শুধু গত সপ্তাহে সাতটি গণ্ডার মেরে হাতগুলো আলাদা করে নিয়ে গেছে শিকারিরা। আসামের উচু জেলা কারবি-আংলংয়ের কাছেই অধিকাংশ প্রাণী হত্যা করা হয়। অনেকে ওই অঞ্চলকে পশু শিকারের অভয়াশ্রম বলে।

বৃহস্পতিবার বনবিভাগ দুই কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত, দুই জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং তিন প্রহরীকে চাকরিচ্যুত করেছে।

পার্ক এলাকায় টহল বাড়ানোর পাশাপাশি গণ্ডার রক্ষার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের সহায়তা করতে অত্যাধুনিক অস্ত্রসজ্জিত কমান্ডো মোতায়েন করেছে রাজ্য সরকার।

অস্ত্র সম্পর্কে কাজিরাঙ্গা জাতীয় পার্কের পরিচালক এনকে বাসু বলেন, “আমি সঠিক বলতে পারব না তবে হ্যাঁ একে সিরিজের অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে । ”

রাজ্য সরকারের এক হিসাব মতে, কাজিরাঙ্গাসহ আসামের দুটি ন্যাশনাল পার্কে প্রায় ২৩০০টি গণ্ডার ছিল। গত বছর প্রতি পাঁচ দিনে একটি গণ্ডার শিকার করা হয়েছে।

বিভব তালুকদার নামে এক প্রাণীসংরক্ষণবাদী কর্মী বলেন, “২০০৭ সাল থেকে সিবিআইয়ের তদন্ত কথা শুনছি কিন্তু কই কিছুই তো হচ্ছে না। কর্মকর্তারা যদি যথার্থভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে সিবি আইয়ের তদন্তের প্রয়োজন নেই। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।