ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

অদ্ভুত যতসব উদ্ভিদ প্রাণী

আবু তালহা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৩
অদ্ভুত যতসব উদ্ভিদ প্রাণী

ঢাকা: সাধারণরত কোনো ব্যক্তিকে যদি দু’মুখো বলা হয় তবে তিনি ভীষণ অপমানিত বোধ করেন। তবে প্রাণীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই আলাদা।

আবার অনেক উদ্ভিদ আছে যেগুলো মানুষ ও অন্য প্রাণীকে ধাঁধায় ফেলে দেয়।

অনেক প্রাণীকে তাদের দুই মুখ থাকায় বেশ দম্ভের সঙ্গে চলাফেরা করতে দেখা যায়। বেশ কিছু চালাক প্রাণীর শরীরেই দু’টি মুখ দেখা যায়। অনেকের আবার দু’টি মাথাও থাকে। বিশেষত শিকারী প্রাণির শরীরে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলো আসল হয় না। আসুন পরিচিত হওয়া যাক এমন ব্যতিক্রম কয়েকটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর সঙ্গে।

পিনাট-হেড বাগ

ঠিক তাই, খোসা ছাড়ানো চীনা বাদাম আকৃতির মাথা থাকাতেই এর নাম হয়েছে পিনাট-হেড বাগ। বাদাম আকৃতির এই মাথার বৈশিষ্ট্য হলো সানগ্লাসের মতো এটি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে। তবে মজার বিষয় হলো এই মাথা কেবল দেখানো জন্যই।

পিনাট-হেড বাগ এতটাই নিরীহ যে সে কামড়াতেও পারে না। মুখ দিয়ে গাছের পুষ্টিকর রস চুষে খেয়ে জীবনধারণ করে। তবে আত্মরক্ষার বিষয়টিও তো নিশ্চিত করতে হবে। তিন ইঞ্চি লম্বা এই তৃণভোজী প্রাণীটি মূলত অদ্ভুত আকৃতির মাথার কারণেই পার পেয়ে যায়। এছাড়া এর পাখাতেও রয়েছে চোখের ছাপ। সবগুলো চালাকিই যখন ধরা পড়ে যায় তখন সে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়িয়ে রেহাই পায়।

স্কিপার বাটারফ্লাই পুপা

এই প্রজাপতির অদ্ভুত মুখাকৃতি নিঃসন্দেহে চালাকি। তবে এটা দু’মুখো নয়। কারণ এর প্রকৃত কোনো মুখাকৃতি নেই। অন্তত বাইরের দিকে নয়। এই প্রজাপতির মেকি মুখাকৃতি শিকারী প্রাণীর মতোই ভয়ঙ্কর, যা একটি পাখিকেও ভয় পাইয়ে দেয়।

দ্য হ্যাপি ফেইস স্পাইডার

নামটি শুনেই আপনার হাসি পেতে পারে। তবে অদ্ভুত লাগলেও যখন আপনি হ্যাপি ফেইস স্পাইডার দেখবেন তখনই বুঝতে পারবেন কেন এত হ্যাপি।

কেবল হাসি মুখই তার একমাত্র বৈশিষ্ট্য এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। বিভিন্ন অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ নিয়েই আপনার সামনে হাজির হতে পারে।

তারা মানুষের ১৯৭০টিরও বেশি হাসিমুখ সৃষ্টি করতে পারে তার হাসির রেখার মধ্যে। আবার কখনও না-ও হাসতে পারে।

ড্রাকুলাস জিজাস

ড্রাকুলাস জিজাসে খুব সহজেই বাঁদরের আকৃতি খুঁজে পাওয়া যায়। সে কারণে অনেকে এটাকে বাঁদর মুখো অর্কিডও বলে।

প্রশ্ন জাগতে পারে মাছ পোকামাকড় ইত্যাদি শিকারীর হাত থেতে বাঁচতে বিভিন্ন মেকি চোখের ছাপ দরকার হতে পারে, কিন্তু অর্কিডের কেন দরকার? আমেরিকান অর্কিড সোসাইটির মতে এটা একটি অলৌকিক বিষয়। তবে এই আকৃতি তাকে ফাঙ্গাস খেঁকো পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা করে।

টুইনস্পট গোবি

এর ছদ্মবেশ এবং একাধিক নাম শুনলে আপনার মনে হতে পারে যেন কোনো সুরক্ষা বহরে রয়েছে। আইস্পট গোবি, ক্র্যাব আই গোবি, সিঙ্গেল গোবি এবং ফোর আইড গোবিসহ অসংখ্য নামে পরিচিত এটি।

টুইনস্পট গোবি ছদ্মবেশে এতই পারদর্শী যে এর মুখোমণ্ডল কোথায় এটা নিয়েও আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে।

প্রকৃতপক্ষে এটি শান্তিপ্রিয় মাছ হলেও এর মেকি দু’চোখ দেখে অন্যান্য মাছের চেয়ে ভয়ঙ্কর মনে হয়।

এই চোখের অন্য একটি সুবিধা হলো এটা যখন গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে তখন মনে হয় বিরাট একটি মাছের মুখ বেরিয়ে আসছে।          

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৩
এটি/এএ/এমজেডআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।