ঢাকা: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংক’র পৃষ্ঠপোষকতায় টানা সপ্তম বারের মতো শনিবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা দিবস।
পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এদিন র্যালির আয়োজন করা হয়।
বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশে আন্তর্জাতিক সৈকত পরিচ্ছন্নতা দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে। দিনটির মূল কার্যক্রমের উদ্দেশ্যই থাকে সৈকতে সমবেত সাধারণ মানুষকে বর্জ্য ও পরিত্যক্ত দ্রব্য সামগ্রী পরিচ্ছন্ন করার কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে বিশ্বের পরিবেশকে সজীব ও সুন্দর রাখার জন্য জনসচেতনতা তৈরি করা।
বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে, বিশেষ করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এই দিবসটির উদযাপন বৃহত্তম অনুষ্ঠানে রূপ ধারণ করছে। পরিবেশবাদী সংগঠন ‘কেউক্রাডং বাংলাদেশ’ সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের গর্বিত আয়োজক।
সৈকত পরিচ্ছন্নতা দিবস উদযাপন বাংলালিংক’র বছরব্যাপী সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের একটি অংশ। এখানে ২৬ জন নারী পরিচ্ছন্নকর্মী প্রতিদিন দুইবার করে ৩ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার করে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেন।
শনিবার সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নের এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার এইচ ই গ্রেগরি অ্যান্টলে উইলকক, বাংলালিংক’র পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার খন্দকার আশিক ইকবাল।
বাংলালিংকের রিজিওনাল কমার্শিয়াল হেড মো. ফরহাদ হোসেন আয়োজন সম্পর্কে বলেন, ‘এই আয়োজন বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক’র ধারাবাহিক প্রচেষ্টারই একটি অংশ। টানা সপ্তমবারের মতো এই আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করতে পেরে আমরা গর্বিত। ’
তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে নিজেদেরকে সবসময় যুক্ত রাখতে চাই। এ ধরনের সচেতনতামূলক উদ্যোগকে আমরা বরাবরই সাধুবাদ জানাই সুন্দর একটি আগামী গড়ে তোলার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৩
এইচএ/এসআরএস