প্রচলিত আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি আমাদের মনের সব কথাই বলে গেছেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষণে কেমন করে যেন আসলেই মিলে যায় কবির গান কবিতা আমাদের জীবনতরঙ্গে।
বৃষ্টি ও বজ্রে এই ছবিগুলো সংগৃহীত। তবে দেখলে মনে হয় যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এরূপের মোহেই লিখেছেন অসাধারণ সব গান কবিতা।
‘বজ্রমাণিক দিয়ে গাঁথা আষাঢ় তোমার মালা
তোমার শ্যামল শোভার বুকে বিদ্যুতেরই জ্বালা...’
প্রকৃতির প্রতিটি অনুষঙ্গ কবি কত সূক্ষ্মচিত্তে দেখতেন তার একটি অনন্য উদাহরণ বোধহয় এটি।
সত্যিই তো! এক ক্লিকে উপরের ছবিতে একসঙ্গে সত্তরটি বজ্র ধরেছেন এক আলোকচিত্রী। যে আলো এরা ছড়াচ্ছে সেটাকে মাণিক ছাড়া আর কি বলা যায়!
‘শ্রাবণ তুমি বাতাসে কার আভাস পেলে
পথে তারি সকল বারি ঢেলে দিলে...’
কবির এই পথ যদি হয় আকাশ পথ, আর সে পথে যদি এমন করে দেখা মেলে বারি ধারা, তবে ‘শরৎ’ হয়ে বলতে ইচ্ছে করবে ‘মিলিয়ে দেব কালোয় আলো/সাজবে বাদল আকাশ মাঝে সোনার সাজে...’
ছবিটি বিমান থেকে তোলা বৃষ্টির দারুণ একটি মুহূর্ত।
‘ওই যে ঝড়ের মেঘের কোলে
বৃষ্টি আসে মুক্তকেশে আঁচলখানি দোলে
ওরই গানের তালে তালে...’
ছবিটি দেখে মন হয়তো আবার বলে উঠবে ‘ঘরছাড়া মোর মনের কথা যায় বুঝি ওই গাঁথি গাঁথি...’।
‘এই শ্রাবণের বুকের ভিতর আগুন আছে...’
‘কোন খেপা শ্রাবণ ছুটে এল আশ্বিনেরই আঙিনায়
দুলিয়ে জটা ঘনঘটা পাগল হাওয়ার গান সে গায়.. .’
আশ্বিনে হঠাৎ গত দুদিনের বৃষ্টি এ গানটি বারে বারে বাজিয়ে চলেছে মনে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৩
এএ/আরকে