অ্যাজটেকরা এর নাম দিয়েছিল ছোট্ট বর্মঘেরা প্রাণী। নামের স্বার্থকতা রয়েছে বটে।
নতুন জন্ম নেওয়া এই আর্মাডিলোটিও এর ব্যতিক্রম নয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর জার্মানির হ্যালে শহরে জন্ম নেওয়া আর্মাডিলো এডি প্রথমবারের মতো শুভেচ্ছা জানালো পৃথিবীবাসীকে।
অনেকটা তিনস্তরে খোলসে ঢাকা এডিকে প্রথম দর্শনে মনে হতে পারে একটি কাঠের বল।
ঠিক এ মুহূর্তের একটু পরেই প্রথমবারের মতো পৃথিবীকে নিজের ভাষায় স্বাগত জানায় শিশু আর্মাডিলো এডি।
বাবার খোঁচা খাওয়ার পরই নিজেকে উন্মুক্ত করতে শুরু করে সে। এজন্য ধন্যবাদ এডির বাবা ট্যাটুকে।
বাইরে তাকে নিয়ে কি হচ্ছে তা বুঝে ওঠার জন্য বাবার সাহায্যে খোলস থেকে নাক বের করে দেয় এডি।
স্তন্যপায়ী পিঁপড়েখেকো ‘অ্যান্টইটার’ ও গাছের শাখানিবাসী শ্লথগতির ‘স্লোথের’ মতো আর্মাডিলোর উৎপত্তিও দক্ষিণ আফ্রিকায়।
সবার অধীর অপেক্ষার অবসান ঘটাতে ধীরে ধীরে নিজেকে সবার সামনে মেলে ধরছে এডি।
এডি ও ট্যাটু দু’জনেই ইউরোপের পরিচিত আর্মাডিলো প্রজাতির সদস্য। তাদের খোলসটি তিন খণ্ডে বিভক্ত।
মধ্য আমেরিকায় অবশ্য নয় খণ্ডে বিভক্ত খোলসের আর্মাডিলোও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৩