শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): লাউয়াছড়ায় জাতীয় উদ্যানে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একটি হরিণ (Barking Deer) গুরুতর আহত হয়েছে।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে আটটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে লাউয়াছড়ায় প্রধান ফটক থেকে কিছু দূরে গাড়িভাঙা ব্রিজ নামক স্থানে ঢাকা থেকে শমসেরনগরগামী যাত্রীবাহী বাস তাজ পরিবহনের ধাক্কায় আহত হয় হরিণটি। এসময় ওই বাসের পেছনে আসা সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশার দুই যাত্রী হরিণটিকে উদ্ধার করে লাউয়াছড়া রেস্ট হাউজে নিয়ে আসেন।
বন্যপ্রাণী ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, হরিণটির ডান হাঁটুর হাঁড় ভেঙে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে।
শ্রীমঙ্গল প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জেন ডা. মো. আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি ছুটিতে আছি, তবে ঘটনাটি শোনার পর আমাদের একজন কম্পাউন্ডার পাঠিয়েছিলাম। উনি আমাকে বললেন যে একটা পা ফ্যাকচার হয়েছে। ওই জায়গাটি প্লাস্টার করা হয়েছে। পেইনকিলার, এন্টিবায়োটিক, এন্টিহিস্টাসিন প্রভৃতি ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
ওয়াইল্ড এনিমেলরা আঘাত পেলে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে শকে চলে যায়। এটি অত্যন্ত রিস্ক বলে জানান এই চিকিৎসক।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. তবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই আমি লাউয়াছড়া রেস্ট হাউজ থেকে আহত হরিণটিকে উদ্ধার করে বন্যপ্রাণি সেবা ফাউন্ডেশনে নিয়ে আসি এবং ভেটেরিনারি সার্জেনের পরামর্শক্রমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বন্যপ্রাণি চলাচল এবং বন্যপ্রাণিদের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষার স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাকা সড়কটি সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এবং একটি বিকল্প পথ তৈরি করা হবে। এ গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি দ্রুত বাস্তবায়িত হলে নিরীহ বন্যপ্রাণিদের এভাবে গাড়ির চাকার নিচে পড়ে প্রাণ হারাতে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৬
বিবিবি/আরএ