ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাধবডাঙ্গা গ্রামের সরকার বাড়িতে গড়ে ওঠা পাখির নিরাপদ আবাসস্থলে হানা দিয়ে ক্ষতি করায় আটক করা সেই বাজপাখিটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে পাখি বাড়ির মালিক রবিউল হাসান ভুটান সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রায় ২২ বছর ধরে গ্রীষ্মকালে পানকৌড়ি, ঘুঘু, সাদা বক, শালিক, বালি হাঁস, শামুকভাঙ্গাসহ নানা প্রজাতির পাখি ঝাঁক বেধে তার বাড়িতে আসে। বাড়ির বিভিন্ন গাছে নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তোলে ওইসব পাখিরা। এসব পাখি বাড়ির বিভিন্ন গাছে বাসা বেধে সেখানে বাচ্চা ফোটায়। এরপর শীত এলে পাখিরা এই বাড়ি ছেড়ে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমায়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ওই বাড়ির গাছে গাছে বাসা বাধে।
ভুটান সরকারের দাবি, অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে দু’টি বড় আকারের বাজপাখি তার বাড়িতে এসে অন্য পাখিদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল এবং ছোট ছোট পাখি খেয়ে ফেলছিল। পাখির বাসা ও ডিম নষ্ট করছিল। বাজপাখিটির আক্রমণে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি পাখি আহতও হয়। বাজপাখির ভয়ে অনেক পাখি বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
এ সব পাখির নিরাপত্তার জন্য ১১ অক্টোবর সকালে অনেক চেষ্টার পর কৌশলে একটি বাজপাখি আটক করলে অন্য বাজপাখিটি নিরুদ্দেশ হয়। হিংস্র বাজপাখিটি ধরার সময় কিছুটা আঘাত পায়। ওই সময় বৃষ্টির পানিতে ভিজে দুর্বলও হয়ে পড়ে পাখিটি। ফলে বাজপাখিটিকে নিরাপদে খাঁচায় বন্দি রেখে পরিমিত খাবার ও চিকিৎসাসেবা দিয়ে সুস্থ করা হয়।
এদিকে, শীতের আগম বার্তায় প্রকৃতির নিয়মে বিগত বছরের মতো সরকার বাড়ি ছেড়ে পানকৌড়ি, ঘুঘু, সাদা বক, শালিক, বালি হাঁসসহ নানা প্রজাতির পাখি ঝাঁক বেধে অজানা গন্তব্যে চলে যায়। তাই খাঁচায় বন্দি বাজপাখিটিও মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান পাখি বাড়ির মালিক ভুটান সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
আরএ