পাখিগুলো শিকারের পর সোনাগাজী শহরসহ ফেনী জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে চড়া দামে বিক্রি করা হয়।
বিশিষ্ট পাখি বিশারদ শাহজাহান সরদার বাংলানিউজকে জানান, মুহুরী লেকে প্রায় ১৬ প্রজাতির সাইবেরিয়ান অতিথি পাখি আসে।
মুহুরী লেক এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী মহীউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিন সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাই ও ফেনী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাখি শিকারিরা অবাধে অতিথি পাখি শিকার করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিকারিরা নির্বিঘ্নে পাখি শিকার করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল আরেফিন বাংলানিউজকে জানান, মুহুরী লেকে পাখি নিধন বন্ধ করা না গেলে কোনো একসময় এখানে আর অতিথি পাখি আসবেনা। জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা না নিলে মুহুরী লেক পাখি শুন্য হয়ে পড়বে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ূন কবির বাংলানিউজকে জানান, অতিথি পাখি শিকারের খবর পেলে দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি মুহুরী লেক এলাকায় পুলিশের টহল জোরদারের ব্যবস্থা করা হবে।
সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেডএম কামরুল আনাম বাংলানিউজকে জানান, অতিথি পাখি শিকার দণ্ডণীয় অপরাধ। পাখি শিকারে নিরুৎসাহিত করতে মুহুরী লেক এলাকায় প্রচারণা চালানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এনটি/আরএ