যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার (ইউএসএআইডি) অর্থায়নে পরিচালিত এক প্রকল্পের সফলতা দেখার উদ্দেশ্যে তার এই আগমন।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তিনি লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে আসেন।
উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার দো, ক্রেলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী (নর্থ-ইস্ট রিজিওন) মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) তবিবুর রহমান প্রমুখ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে পরিচালিত ‘ক্রেল’ প্রায় শত কোটি টাকায় প্রজেক্টটি লাউয়াছড়াসহ দেশের অন্যান্য জাতীয় উদ্যানগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিল। ইতোমধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদী এ প্রজেক্টের কাজ শেষ হয়। তবে নতুন প্রজেক্ট পাওয়ার আশায় ক্রেল সংশ্লিষ্টরা দাতা সংস্থার ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিত্বদের নিয়ে আসেন মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম দেখানোর উদ্দেশ্যে। দাতাদের তারা বোঝাতে চেষ্টা করেছেন যে, লাউয়াছড়ায় বিকল্প জীবিকায়নসহ অন্যান্য প্রজেক্টগুলো দারুণভাবে সফল হয়েছে। গাছ চোররা এখন ভালো হয়ে গেছে। আগে যারা গাছ কাটতেন তারা আর এখন গাছ কাটেন না সরাসরি ক্রেলের বদৌলতে।
বস্তুতপক্ষে লাউয়াছড়ার চিত্র উল্টো। যারা গাছ চুরি করতো, তারা এখনও সেই গাছই চুরি করে। যে লাকলি কাটতো সে এখানও লাকলিই কাটে। এভাবেই ভেস্তে গেছে ক্রেলের চোরকে সাধু বানানোর নিরন্তর চেষ্টা। বরং বন বিভাগের জনবল ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বনের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
বিবিবি/আইএ