কুমির ছানার মৃত্যু চিতা বিড়ালের দ্বারা সংগঠিত হয়েছে কি না তা নিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। শুধু চিতা বিড়াল দায়ী- এটা মানতে নারাজ পরিবেশ কর্মীরা।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জনউদ্যোগ, খুলনার আয়োজনে মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব অভিযোগ করেন বক্তারা।
সুন্দরবনের করমজলে ৬২টি কুমির ছানা পাচার হয়েছে না কি বন বিভাগের অবহেলা- সেই রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি ও বিচারের দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ, খুলনার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা। সভা পরিচালনা করেন জনউদ্যোগ, খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আফম মহসীন, মানবসেবা ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার (মাসাস) নির্বাহী পরিচালক শামীমা সুলতানা শীলু, মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির দেলোয়ার হোসেন দিলু, মফিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির শাহ লায়েকইল্লাহ, এস এম সাইফুল ইসলাম, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, গ্লোবাল খুলনার শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, সমাজকর্মী আফজাল হোসেন রাজু, উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চিতা বিড়ালটি হত্যা করার সিদ্ধান্তটি আইন বর্হিভূত কিনা তাও ভাবতে হবে। একটি অপরাধ ঢাকতে আরেকটি অপরাধ করা কতোটুকু ঠিক, এটাও আজ তদন্তের বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রজনন কেন্দ্রে কুমিরের বাচ্চা সুরক্ষায় নজরদারি ও পাহারা রয়েছে, কেন্দ্রটি নিরাপদ রাখতে নেটজাল দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কুমির বাচ্চার সব প্যান। দিন ও রাতে সব প্যান ঘিরে মোতায়ন থাকে সশস্ত্র বনরক্ষীরা।
তারা আরও বলেন, নামমাত্র তদন্ত নয়, প্রকৃতভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনোভাবে যেন অপরাধীরা পাশ কাটিয়ে না যেতে পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এ ঘটনাকে এতদিন নাশকতা বলে বনবিভাগ দাবি করলেও ঘটনার দায়ভার চাপানো হলো চিতা বিড়ালের ওপর। এটা সত্য কিনা তার জন্য অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন। সুন্দরবন রক্ষার জন্য সুন্দরবন আইন করতে হবে। বন্যপ্রাণী নিধনকারীর জন্য আইনের পরিবর্তন করতে হবে। দোষীদের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
এমআরএম/ওএইচ/এমজেএফ