বাংলা-শকুনটির সেবা-শুশ্রুষার দায়িত্বে থাকা বন্যপ্রাণি বিভাগের গার্ড মো. শফিক বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন) থেকে তার অবস্থার উন্নতি হলেও রোববার (২৫ জুন) থেকে অবনতি ঘটতে থাকে এবং সোমবার সে মারা যায়। প্রথম প্রথম সে নিজ থেকেই মাংস খেতো।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. তবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত বুধবার (২১ জুন) রাত থেকে আমাদের রেসকিউ সেন্টারে তার অবস্থার উন্নতির জন্য সেবা-শুশ্রুষা চলছিল। ইতোমধ্যে ওকে স্যালাইন, গ্লুকোজ, মুরগি ও গরুর মাংস খেতে দেওয়া হয়েছিল’।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দো বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ প্রাণিটি একবারেই বিপন্ন প্রজাতির। তাই আমরা একে স্টেফিং করার (সংরক্ষণ করে রাখা) সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে অবিকল দেখতে পাওয়া যাবে এবং যুগ যুগ ধরে প্রাণহীন অবস্থায় টিকে থাকবে এই বাংলা শকুন’।
বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ প্রকল্পের মূখ্য গবেষক সীমান্ত দীপু বাংলানিউজকে বলেন, এই শকুনটি সম্ভবত ক্ষতিকর ড্রাগ ‘কিটোপ্রোফেন’ ব্যবহৃত গরুর মাংস খেয়েছিল। অল্প পরিমাণে খেয়েছিল বলে কিছুদিন বেঁচেছিল। বেশি পরিমাণে খেলে সঙ্গে সঙ্গে মারা যাওয়ার কথা।
গত বুধবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল শহরের শান্তিবাগ এলাকার একটি পরিত্যক্ত মাঠে বিপন্ন প্রজাতির শকুনটিকে পড়ে থাকতে দেখে তার সঙ্গে খেলা জুড়ে দেয় শিশু-কিশোররা। এক পর্যায়ে শকুনটিকে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে তারা। খবর পেয়ে ছুটে এসে বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ অসুস্থ শকুনটিকে উদ্ধার করে। বন্যপ্রাণি অফিসের রেসকিউ সেন্টারে এনে স্যালাইন-পানি পোল্ট্রি মুরগি ইত্যাদি খাওয়ানো হলে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। ওই রাত থেকে চিকিৎসা চলছিল বাংলা শকুনটির।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
বিবিবি/এএসআর
** এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয় বাংলা-শকুনটি
** শঙ্কামুক্ত নয়, মহাবিপন্ন ‘বাংলা-শকুন’