সেই ছোট্টখুকী একটি পেয়ারা পেতে নানা কথার ছলে ভুলাচ্ছে চঞ্চল কাঠবিড়ালীকে। কিন্তু কাঠবিড়ালী শুনলে তো? সে আপন মনে পেয়ারা খেয়েই চলেছে।
কিন্তু এবার বইয়ের পাতায় নয়, কাঠবিড়ালীর পেয়ারা খাবার অসাধারণ দৃশ্য সেদিন দেখা গেলো বাস্তবে।
পেয়ারাটিকে দুপায়ে ধরে দ্রুতবেগে মুখ নেড়ে দারুণভাবে পেয়ারা খেয়ে চলেছে কাঠবিড়ালী। অন্যদিকে তার কোনো খেয়ালই নেই।
তবে জেনে রাখা ভালো, কাঠবিড়ালী কিন্তু পুরো পেয়ারা খায় না। পাকা না হলে উপরের সবুজাভ আবরণ দাঁত দিয়ে কেটে কেটে খুব দ্রুত ফেলে দেয়। তারপর ভেতরের অপেক্ষাকৃত নরম অংশটি আয়েস করে খায়।
কাঠবেড়ালীর পেয়েরা খাওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটিকে তিনটি পর্বে ভাগ করা যায়। প্রথমে গাছের অনেক পেয়ারা থেকে একটিকে নির্বাচন করে সে। তারপর ওই পেয়ারা পোক্ত না হলে সবুজাভ আবরণটি দাঁত দিয়ে কেটে কেটে সরিয়ে ফেলে। তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্বে পেয়ারার ভেতরের নরম অংশ খেয়ে ফেলে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আধাঘণ্টার উপর সময় লেগে যায় তার।
এ কাঠবিড়ালীর নাম ‘বাদামি কাঠবিড়ালী’। এর ইংরেজি নাম Irrawaddy Squirrel। এদের দেহ সরু, বাদামি রঙের। পেটের রঙ ফ্যাকাশে ধূসর কিংবা সাদা। পায়ের নিচের দিকে সাদা আভা রয়েছে। লেজের অংশটি ঝাঁপালো বিশিষ্ট।
বাদামি কাঠবিড়ালীর খাদ্যতালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফল, ফুল, সবজি, ছাল ও বাদাম। জুন-আগস্ট এদের প্রজনন মৌসুম। এরা বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক স্তন্যপায়ী প্রাণী। সারাদেশেই এদের পাওয়া যায়।
আমাদের চারপাশে প্রতিদিন ক্রমশই উজাড় হচ্ছে গাছপালা। ফলে গাছের উপর আশ্রয় করে বেঁচে থাকা এই প্রাণীটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। পরিবেশ ও এর উপাদান রক্ষায় আমাদের চারপাশের গাছগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে। তবেই বাঁচবে কাঠবিড়ালীর মতো সুন্দর প্রাণী।
বাংলাদেশ সমময়: ১০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৭
জেডএম/