তবে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চা বাগান এলাকার ৮নং সেকশনের গর্জন এলাকা থেকে হাতিটিকে ধরা হয়েছে। বনবিভাগের চারদিনের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় তাকে অক্ষত আটক করা হয়েছে।
চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার দুটি ইনজেকশন দেওয়ার পরও হাতিটি অচেতন না হলে বৃহস্পতিবার পুনরায় বাঁশ বাগান এলাকা থেকে মাহুতের সাহায্যে কৌশলে ৮নং সেকশনে নামিয়ে এনে আরও ৮ মিলি পরিমাণে ইনজেকশন পুশ করে হাতিটিকে অচেতন করে ফেরা সম্ভব হয়েছে।
তবে বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত বলে জানান তিনি।
এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, হাতিটিকে ধরে ফেলার পর এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
হাতির মালিক মো. মামুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, অক্ষত ধরায় বন বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই।
মেরিনা বাগানের ম্যানেজার মো. জহিরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ছয়দিন পর তাদের সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সব শ্রমিক কাজে যোগদান করতে পারেন এখন, কেউ আর আগের মতো ভয় পাবেন না।
সহকারী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (এসিএফ ওয়াল্ড লাইফ) তবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, টানা চারদিনের প্রচেষ্টার পর বশে আনা সম্ভব হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আর এস এম মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এখন পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রসগোল্লার ভয়ে চা বাগানের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত
কুলাউড়ায় হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মাহুত নিহত
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭
আইএ