উভচর প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম পাহাড়ি ‘ভেপু ব্যাঙ’। বিশেষ কোনো কারণবশত এই ব্যাঙটি আপনা থেকেই তার অকৃতিগত পরিবর্তন ঘটিয়ে ভয় দেখিয়ে নিজেই স্থান ত্যাগ করতে পটু।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং গবেষক ড. মো. কামরুল হাসান বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলানিউকে বলেন, ‘এশিয়ান প্রিন্টেড ফ্রগ’ লাউয়াছড়ায় সবচেয়ে বেশি পপুলেশনে (সংখ্যায়) রয়েছে। জুন-জুলাইয়ে যে ঘনঘন বৃষ্টিপাত হবে তখন ওরা বের হবে এবং জোরে জোরে আওয়াজ করে ডাকবে।
এই ব্যাঙটি ‘ফরেস্ট কনসাইন্ড’ (বনের সুরক্ষা প্রদর্শনকারী)। ভালো কোয়ালিটির ফরেস্ট (উন্নত বন) না হলে ‘এশিয়ান প্রিন্টেড ফ্রগ’ থাকে না।
তিনি আরো বলেন, এই ব্যাঙটি ‘বিলং ফ্রগ’ অর্থাৎ ‘পটকা ব্যাঙ’ নামেও পরিচিত। একে একটু স্পর্শ করলে বা বিরক্ত করলে বা রাগালে বা সে নিজেও ভয় পেলে আপনা থেকেই পটকা মাছের মতো ফুলে বৃহৎ আকার ধারণ করে। এটা তার আত্মরক্ষার একটা বিশেষ কৌশল। নিজেকে বড় দেখিয়ে সে ধাধা লাগায়।
ড. কামরুল জানান, ‘ভেপু ব্যাঙ’ এর ইংরেজি নাম Asain Printed Frog এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Kaloula pulchra। এদের দৈর্ঘ্য ৫৭ থেকে ৮২ সেন্টিমিটার। প্রজননকাল বৃষ্টি মৌসুম অর্থাৎ জুন-জুলাই। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ছাড়াও এ ব্যাঙগুলো সাতছড়ি, কালেঙ্গাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বনগুলোতে পাওয়া যায়।
কোনো পরিবেশে এই ব্যাঙগুলো বেশি সংখ্যায় থাকার অর্থই হলো ওখানের এনভায়রনমেন্টটা খুব ‘হেলথি’ (সুস্বাস্থ্য) এবং পুরোপুরি ‘ইকো-সিস্টেম’ (বাস্তুতন্ত্র) সুসমন্বত রয়েছে সেখানে বলে জানান গবেষক ড. মো. কামরুল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৮
বিবিবি/জেডএস