ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

ভূমিধসের মূল কারণ পাহাড় কাটা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৮
ভূমিধসের মূল কারণ পাহাড় কাটা সংবাদ সম্মেলনে বাপা নেতারা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পাহাড়ে ভূমিধস সবচেয়ে বেশি সংগঠিত হচ্ছে এখন। ২০১৭ সালে রেকর্ড সংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে। পাহাড় কাটা জিরো টলারেন্সে না আনতে পারলে ভবিষ্যতে আরও বেশি প্রাণহানি ঘটবে। 

সোমবার (২ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাবিব।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইকবাল হাবিব বলেন, পাহাড় কাটার ফলে ভূমিধস এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

এখনই পাহাড় কাটা জিরো টলারেন্সে না আনতে পারলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।  

‘ভূমিধসের পেছনে মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রাকৃতিক কারণ রোধ করা গেলেও মানবসৃষ্ট কারণ রোধ করা যাচ্ছে না। এজন্য একের পর এক অঘটন ঘটেই যাচ্ছে।

এসময় তিনি মানবসৃষ্ট কারণগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পাহাড় কাটা, পাহাড় থেকে বন ও উদ্ভিদ অপসারণ, লাঙল কর্ষণের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ফসলের আবাদ, অনুপযোগী পদ্ধতিতে বসতি স্থাপন, অনুপযোগী কৃষি পদ্ধতির পরিবর্তন, বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ, পাহাড়ের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ভূমিধস সৃষ্টি হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিভিন্ন সরকারি নীতি ও কার্যক্রম ভূমিধসের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেক সময় সরকারি কর্মকর্তারা নিজেরাই আবাসন অথবা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে পাহাড় কাটায় প্রবৃত্ত হচ্ছেন। এতে বন বিভাগের অনেক কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন। সরকার বিভিন্ন নিরাপত্তা স্থাপনা গড়ে তুলছেন, এর ফলে ভারী যানবাহন চলাচল বেড়ে গেছে।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাপার সহ-সভাপতি অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ, সদস্য রূহিন হোসেন পিন্স, বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের (বেন) প্রতিনিধি ডা. মাহমুদুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৮
ইএআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।