আর এই দৃশ্যপটের রচয়িতা বন্যপ্রাণী গবেষক তানিয়া খান। তার বাসাতেই চোখ না ফোটা দু’টি বনবিড়ালের ছানাকে মাতৃস্নেহে লালনপালন করে চলেছেন তিনি।
তবে তিনি আশঙ্কাপ্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, বাচ্চাগুলো এতো ছোট যে তাদের বাঁচানো কঠিন। আমি ওদের নিয়মিত খাবার খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সেভ আওয়ার আনপ্রোটেকটেড লাইফ (সোল্) এর কর্ণধার তানিয়া খান বলেন, মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সম্প্রতি তার কাছে এই দু’টি বনবিড়াল ছানা হস্তান্তর করে। এর আগে গত বুধবার (১১ জুলাই) সুনামগঞ্জ থেকে এদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট বন বিভাগ।
বড় বিড়ালের ইংরেজি নাম Jangle Cat এবং বৈজ্ঞানিক নাম Felis chaus। এরা প্রধানত নিশাচর। তবে কখনও কখনও দিনেও নির্জন স্থানে খাবারের সন্ধানে বের হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন বনাঞ্চল এবং চা বাগান এলাকায় এদের দেখা যায়।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন), বাংলাদেশ এর ‘লাল তালিকা’য় একে ‘ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত’ (Least Concern) প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
বিবিবি/এএ