বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন পরিবেশবিদ ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রীমঙ্গলের এক পরিবেশপ্রেমী বাংলানিউজকে জানান, প্রায় মাসখানেক ধরে চার-পাচটি হাতি লাউয়াছড়ার কলাছড়া বিটে অবস্থান করছে।
তিনি আরো বলেন, হাতির দৈনিক খাবার খরচ কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাহুতরা এ কাজটি করছেন। একটি হাতি দৈনিক দু’ থেকে আড়াই হাজার টাকার খাবার খায়। বনে ছাড়া থাকলে অনেক টাকা সাশ্রয় হয় মাহুতদের। দিনে তাদের বেঁধে রাখে এবং রাত হলে ছেড়ে দেয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক এবং পরিবেশবিদ আবদুল করিম কিম বাংলানিউজকে বলেন, লাউয়াছড়ার মতো সঙ্কুচিত বনে অবৈধ হাতির অনুপ্রবেশ ও মাসাধিককাল ধরে তাদের অবস্থান প্রতিবেশ ব্যবস্থার জন্য হুমকির শামিল। ১২শ ৫০ হেক্টর জায়গার মধ্যে অবৈধভাবে দখলের ফলে এ জাতীয় উদ্যানটি সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষে জরুরি পদক্ষেপ কামনা করছি।
প্রখ্যাত বন্যপ্রাণী গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান বাংলানিউজকে বলেন, এগুলো যদি বুনো হাতি হতো তাহলে ততটা ক্ষতি হতো না। গৃহপালিত বলেই উদ্বেগের কারণ রয়েছে। আর জাতীয় উদ্যানের নীতিমালা অনুযায়ী এটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি কাজ।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ) এমএ শামসুল মহিত চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাপারটি আমার জানা ছিল না। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
বিবিবি/এএ