আমাদের বিপন্ন জীবন রক্ষা করুন- শিরোনামে এগিয়ে চলা ‘সোল’ নানাভাবে আঘাতে জর্জরিত বিপন্ন বন্যপ্রাণীদের একটি নির্ভরশীল আশ্রয়স্থল হিসেবে আজ পরিচিত। যেখান থেকেই আহত-বিপন্ন বন্যপ্রাণী আসুক না কেন সবগুলোকেই পরম মমতায় এখানে সেবা-শুশ্রুষা দেওয়া হয়।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী এবং সোল-এর পরিচালক তানিয়া খান বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীপ্রেমী রাজিব দে শ্রীমঙ্গলের উপজেলার ভৈরবগঞ্জবাজার থেকে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহায়তায় এ দুটি উদ্ধার করে আমার কাছে হস্তান্তর করেছেন।
পাখি দুটি সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, তিলাঘুঘু পাখিটির ডানার পলকগুলো নেই এবং সে উড়তে পারে না। আর ভাতশালিক পাখিটির ওজন নেই, খুবই দুর্বল। মনে হয় সে কয়েকদিন কিছুই খায়নি। তাদের রোদের কাছাকাছি রেখেছি এবং পানি দিয়েছি, খাবার দিয়েছি। খাবার খাচ্ছে। আশা করছি, নিবিড় সেবা-শুশ্রুষায় ওরা দুজনেই সুস্থ হয়ে প্রকৃতিতে উড়ে যেতে পারবে।
তানিয়া খান বলেন, কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে ৮টা পাহাড়ি ময়না পাখি এসেছিল। এর মাঝে দুটো খুবই দুর্বল থাকায় মারা গেছে। ৬টা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং তাদের অবমুক্ত করার সময় হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাথে কথা বলে তাদের লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
বিবিবি/এমজেএফ