টিকে থাকার দারুণ ব্যস্ততায় তারা রয়েছে ছুটাছুটিতে। এই চলমান জীবনপ্রণালির মধ্যে পাখিদেরও রয়েছে রাগ, ঘৃণা, আক্রমণ কিংবা মমতা, প্রেম-ভালোবাসা।
মানুষের তৈরি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের মধ্যে আটকে নেই পাখিদের এই ভালোবাসা। প্রকৃতিতে তারা যখন-তখন যুগলবন্দিতে স্পর্শাকুল হয়। জন্ম-জন্মান্তরের স্বার্থকতা খুঁজে নেন নিজেদের মধ্যে। কারো কারো চলে বছরজুড়ে প্রজননের জন্য মিলিত আহ্বান। তারা ওভাবেই প্রতিদিনের ভালাবাসায় রাঙা। ডালে-ডালে পাতায়-পাতায় সেই ভালোবাসা স্বাক্ষর। কিংবা উড়ন্ত যুগল ডানা আকাশের বুকে মেলে ধরে সেই প্রাত্যহিক ভালোবাসার টানেই।
পাখিদের রয়েছে বৈচিত্র্যময় জীবন। কোনো কোনো প্রজাতির পাখি সারাজীবন একে অপরের হয়েই থাকে। আবার কোনো কোনো প্রজাতির পাখি শুধু তাদের প্রজনন মৌসুমে শারীরিক আকর্ষণ মেটাতে সুযোগ্য সঙ্গী খুঁজে ফেরে। তারপর তার সঙ্গে মিলিত হয়ে ডিম দিয়ে ছানা ফুটায়। এভাবে বিচিত্র জীবনধারার অধিবাসী পাখিরা।
বাংলাদেশে সচরাচর দেখা মেলে প্রায় ৫০৬ প্রজাতির পাখি। এছাড়ায় দেড়শ’ প্রজাতির পাখি রয়েছে অনিয়মিত, আগন্তুক এবং অতি-বিরল তালিকায়।
পাখি গবেষক ও লেখক অধ্যাপক আ ন ম আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মানুষের তৈরি ভালোবাসার মধ্য আটকে নেই পাখিদের ভালোবাসা। কিছু কিছু পাখি সারাবছরই মিলিত হয়। তবে বেশিরভাগ পাখির প্রজনন মৌসুম গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকাল। তখন তারা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রকৃতিতে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম সৃষ্টি করে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি সারাজীবনের জন্য একসঙ্গে থাকে।
কিছু কিছু পাখি আছে যারা প্রতি মৌসুমে তাদের প্রয়োজনের তাগিদে সঙ্গী নির্বাচন করে। আবার কোনো কোনো পাখি জোড়া বদল করে নতুন জোড়া সৃষ্টি করে। এভাবে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের বিভিন্ন ধরনের প্রজনন ভালোবাসা রয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক আ ন ম আমিনুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
বিবিবি/এএটি