বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে মালিরঅংক গ্রাম থেকে সাপটি উদ্ধার শেষে ঢাকায় নেওয়ার পথে এমনটি বলছিলেন ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে তিনটি রাসেল ভাইপার সাপের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে পদ্মার চর থেকে রাসেল ভাইপারকে অজগর ভেবে এক ব্যক্তি বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। এরপর রাসেল ভাইপারের কামড়ে তিনি মারা যান। মুন্সিগঞ্জে রাসেল ভাইপারের কামড়ে এটিই প্রথম মৃত্যু বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, বন্যায় পদ্মার চরে একটি ফিমেল রাসেল ভাইপার ভেসে এসে বাচ্চা দিয়েছে। তিনটি সাপের আকৃতিগত পার্থক্য রয়েছে। গেল ২-৩ বছর ধরে রাসেল ভাইপার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে। প্রথমত হয়ত পূর্বে গ্রামাঞ্চলে রাসেল ভাইপার সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না, এখন সাধারণ মানুষ সচেতন হয়েছে।
লৌহজং বন বিভাগের বন কর্মকর্তা আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, ২৬ নভেম্বর মালিরঅংক গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ডোবার কাছ থেকে রাসেলভাইপার সাপটির সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর স্থানীয় একজন হেফাজতে রেখে সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়। বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে বন বিভাগের একটি ইউনিট এসে সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এনটি