মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান এভিয়ান কমিউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
তিনি বলেন, বন অধিদপ্তর তাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে বৈধ বিদেশি পোষা পাখির স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রধান সৌখিন পোষা পাখি পালনকারী ও প্রজননকারীদের সরকার রেজিস্টার্ড সংগঠনগুলোকে না জানিয়ে গোপনে একটি বিধিমালা পাস করিয়ে নেয়।
মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, বন্য পাখি সবুজ টিয়া, চন্দনা টিয়া, ময়না, তিলা ঘুঘু, মুনিয়া, দোয়েল, শালিক ইত্যাদি ধরনের পাখি লালন-পালন অবৈধ। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় পাখি পালনে যে বিধিমালা করা হয়েছে, তার চেয়ে আরও কঠোর বিধিমালা হোক আমরা চাই। তবে খাঁচায় জন্ম নেওয়া আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও শুল্ক পরিশোধ করে আমদানিকৃত বৈধ খাঁচার পোষা পাখি লালন-পালন ও প্রজনন করানো সম্পূর্ণরূপে বৈধ।
‘বাংলাদেশের পাখি পালকেরা গড়ে ২০০ থেকে ১০০০ টাকা মূল্যের পাখি পালন করে। ১০টির অধিক পাখি পালনের জন্য ১০ হাজার টাকা লাইসেন্স ফি, প্রতি পাখির জন্য ২০০০ টাকা পজিশন ফি, পাখির জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, অস্বাভাবিক খাঁচার মাপ, ব্যয়বহুল পাখির রিং, পদে পদে অজামিনযোগ্য জেল-জরিমানাসহ বন মন্ত্রণালয় এমন একটি বিধিমালা প্রণয়ন করেছে যা সৌখিন পাখি পালনকারীদের পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই খাঁচায় জন্ম নেওয়া পাখির ক্ষেত্রে এ বিধিমালা কার্যকর না করার দাবি জানাচ্ছি। ’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- এভিকালচারাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ড মো. আমজাদ চৌধুরী, এক্সোটিক বার্ডস ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাজেদুল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
আরকেআর/আরবি/