হবিগঞ্জ: আখের রস জাল দিয়ে তৈরি করা লালি (স্থানীয়ভাবে ডাকা হয়) গুড় বিক্রি করে সংসার চলে ষাটোর্ধ্ব আয়ধন আলীর।
প্রায় ৩০ বছরের এ পেশায় তার প্রতিদিনকার রোজগার প্রায় হাজার টাকা।
আয়ধন আলী হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সুরেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের সদস্য শুধু তিনি আর তার স্ত্রী। তার দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ভিটেমাটি ছাড়া তার কোনো সম্পদ নেই। সংসারটি চলে লালি গুড় বিক্রির আয় দিয়েই।
চুনারুঘাট উপজেলার ঘরগাঁও এলাকা থেকে আখের রস সংগ্রহ করেন ওই বৃদ্ধ। পরে সেই রস জাল দিয়ে লালি গুড় তৈরি করেন। এরপর কাঁধে নিয়ে বিক্রি করেন বিভিন্ন এলাকায়।
আয়ধন আলীর সঙ্গে কথা হয়ে তিনি জানান, গুড় বিক্রির আয় থেকে তিনি তার দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। দিনে ৩০/৪০ কেজি গুড় বিক্রি করেন। এতে প্রতিদিনকার মুনাফা থাকে ৭শ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। তার এই ব্যবসা চলে শীতকালের দুই থেকে তিন মাস ধরে।
তিনি বলেন, ‘আগে শীতকালে প্রতিদিনই কাঁধে করে গুড় নিয়ে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করতাম। আর গরমের সময় একটি টং দোকান চালাতাম, এখন শেষ বয়সে এসে আর আগের মতো কাজগুলো করতে পারি না, প্রায় দিনই অবসর থাকতে হয়। ’
আয়ধন আলী সরকারি ভাতা পাওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
এএটি