ঢাকা: ছবি কথা বলে। আর তাইতো আমরা সুন্দর মুহূর্তগুলোকে ফ্রেমবন্দি করে রাখি।
প্রাণিজগতের এসব জীবন প্রবাহ অনেকেই ক্যামেরায় ধারণ করে রাখেন। সেসব ছবিগুলোই বলে দেয়, জীবনের চঞ্চলতা, বিকাশ ও নান্দনিকতায় মানুষের তুলনায় প্রাণিরাও পিছিয়ে নেই কোনও অংশে।
তবে দেরি কেন! চলুন দেখে নেওয়া যাক এরকম অসাধারণ কিছু ছবি। প্রথম পর্বে ছবি থাকছে ১০টি।
ইনকিউবেটরে রাখা পান্ডাগুলোকে দেখুন। সুন্দর না! দেখে মনে হয়, যেন তুলার মতো তুলতুলে! সম্প্রতি চীনের গুয়াংডং প্রদেশের গুয়াংঝু কিমেলং সাফারি পার্কে জন্ম নেয় এই তিন পান্ডাছানা।
নর্দান কার্ডিনাল। টুকটুকে লাল বর্ণের এ পাখিটি রেড বার্ড বা লাল পাখি নামেও পরিচিত। ছবিতে নিউইয়র্কে গাছের ডালে বসে আনমনে তুষারপাত দেখছে। কখন যে সে নিজেই প্রকৃতির সৌন্দর্য হয়ে গেছে, সেদিকে খেয়ালই নেই তার!
ক্যামেরাবন্দি বিভার পরিবার। সম্প্রতি জার্মানির মিউনিখের কছে রোসেলহেমে তাদের দেখা মিলল। পারিবারিক ছবি তুলতে কতই না আনন্দিত এরা। এদের উৎসুক ভাবভঙ্গিই তা বলে দিচ্ছে।
ডানা ঝাপটানো মুটুকপরা সারসপাখি। সাদা বরফের ওপর দাঁড়িয়ে ডানা ঝাপটাচ্ছে। সারাদিন পর বুঝি বিশ্রাম নেওয়ার খানিকটা সময় মিলল। জায়গাটি জাপানের সুরুইতে। ও হ্যাঁ, বলে রাখা ভালো, এরা পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও বিরল প্রজাতির সারস পাখি।
ও মা! এটা কে? বনের রাজা সিংহ বুঝি! কি তার গর্জন। সিংহরাজ বলে কথা। সোনালী কেশর ঠিকরে পড়ছে তার আভিজাত্য। ছবিটি বার্লিনের চিড়িয়াখানা থেকে তোলা।
লন্ডনের রিচমন্ড পার্কে হাঁটতে হাঁটতে শিঙে লতাগুল্ম আর ফার্ন দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে তুলেছে লাল হরিণটি। বেশ মানিয়েছে তাকে, তাই না!
মিশরের লোহিত সাগরের নিচে পাওয়া গেল ছদ্মবেশি পটকা মাছকে। মুখের ভেতর বাতাস ঢুকিয়ে ফুলে বেলুন হয়ে আছে। হাতপাখার মতো রয়েছে দু’টো ডানাও। আইভরি আর গাঢ় বাদামি রঙের পটকা মাছটি দেখে মনে হচ্ছে, যেন মখমলের মতো কোমল।
ছোট্ট একটি দ্বীপ। বন্যার ফলে চারপাশে জমা পানি আর ছোট্ট গোলাকৃতির স্থলভাগে শুধু দু’টি প্রাণীর রাজত্ব, গরু আর সবুজ গাছ।
থাইল্যান্ড উপসাগরে তিমি আর গাঙচিলের মৎসভোজন। একই খাবার তারা কি দারুণ ভাগাভাগি করে খাচ্ছে!
সবাই সবার মাকে খুব ভালোবাসে। মানুষের মতো শিশু গরিলারাও মায়ের বুকে ঘুমায়। তাইতো সিডনির তারোঙ্গা চিরিয়াখানায় গরিলাছানাটি নিশ্চিন্তে মায়ের বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫