ফেসবুকে ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার! অন্যদিকে ইনস্টাগ্রামে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ১৬২২ জন। আপনার আছে ক’জন?
যার কথা বলছি সে কোনো ব্যক্তি নয়।
অ্যাচম নামের বিড়ালটি যখনই যার দিকে তাকাচ্ছে তখনই তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। এমনকি খেলার সময় বা ছবি তোলার সময়ও। তাহলে কি অ্যাচম কাউকেই পছন্দ করে না? বা কোনো কিছুই কি তার মনমতো নয়?
কিন্তু তার হলুদ চোখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিই ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। তাহলে কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তার ভয়ঙ্কর এই দৃষ্টিতে?
অ্যাচম দীর্ঘদিন ধরেই হাইপারট্রাইকোসিস রোগে আক্রান্ত। এই রোগের কারণে তার শরীরে অস্বাভাবিক আকার ও পরিমানে লোম গজাতে শুরু করে।
হাইপারট্রাইকোসিস রোগটির সঙ্গে শরীরের হরমোন নিঃসরণের ব্যাপারটি জড়িত। আর সম্ভবত এ কারণেই অ্যাচমের চোখের দৃষ্টি এতটাই অস্বাভাবিক।
প্রতিদিন নাথালি অ্যাচমের তোলা ছবি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করছেন। অ্যাচমের নামের ইংরেজি পরিভাষা স্নিজি শিরনামে পোস্ট করা হচ্ছে ছবিগুলো।
এসব ছবি দেখে ভক্ত বনে গেছেন অনেকেই। বর্তমানে ফেসবুকে ও ইনস্টাগ্রামে অনেকেই অ্যাচমকে মিষ্টি, আরাধ্য ও স্বপ্নিল বিড়াল বলেও কমেন্ট করছেন।
যদিও তার চাহনিতে অস্বাভাবিকতা রয়েছে। তবে, অ্যাচম বাস্তবিক অর্থে অনেক বেশি কোমল ও আদুরে। সে অন্যান্য বিড়ালদের মতই খেলতে ভালোবাসে বলে জানান অ্যাচমের প্রতিপালক নাথালি।
নাথালি আরও জানান, অ্যাচম টেলিভিশন দেখতে ও আমার আইপ্যাডে ক্যাটস প্লেগ্রাউন্ড খেলতে বেশ ভালোবাসে। সে ফ্রিজ থেকে খাবারও খেতে পারে। আর গোসলের ব্যাপারেও ভীষণ উৎসাহী।
সুতরাং, বুঝতেই পারছেন অ্যাচম যেই সেই বিড়াল নয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫